কিছুটা ব্যর্থতা আছে, তবে : ড. আব্দুর রাজ্জাক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব আছে। এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করিনা। তবে, শুধুমাত্র সরকারি প্রচেষ্টায় সব সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের ৫১তম পর্বে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘সহিংসতা কারা করছে বা করাচ্ছে তা দেশবাসী জানেন। স্বাধীনতা বিরোধী এই শক্তির তান্ডবে দেশবাসী ১৯৭১ সাল থেকে আক্রান্ত। তাদের সকল অপরাধের বিচার হবে। কেউ রেহাই পাবে না। একাত্তরে যেমন যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। এখনো সেই শক্তিকে রুখে দিতে হবে।’
প্যানেল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী এবং শহীদ বুদ্ধিজীবি মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন আকবর হোসেন এবং প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ।
শহীদ বুদ্ধিজীবি মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর বলেন, ‘কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল। একই সঙ্গে আমরা যারা ট্রাইবুনালে সাক্ষী দিয়ে বিচারকাজে সহযোগিতা করেছি তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা এখন আতঙ্কে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজে বিভাজন সব সময়য়েই থাকবে। ভালো পক্ষকে মন্দের মোকাবেলা করতে হবে। এটা চিরন্তন লড়াই। এই লড়াইয়ে আমাদের সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। জিততে হবে।’
আলোচনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্রে সাতটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। তার মধ্যে প্রথমত, জনগণের হাতে ক্ষমতা থাকা এবং দ্বিতীয়ত সবদলের অংশগ্রহণে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া। বর্তমান সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেই পথ রুদ্ধ করেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘ভোটারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেনা।’
‘বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ’ বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন এবং বিবিসি বাংলার যৌথ আয়োজনে পরিচালিত হচ্ছে। এতে সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে দর্শকরা সরাসরি প্যানেল সদস্যদের কাছে প্রশ্ন বা মতামত প্রকাশ করতে পারেন।
(দ্য রিপোট/বিকে/এমসি/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩)