নীলফামারীতে নূরের গাড়িবহরে হামলা, নিহত ৫
নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীতে আওয়ামী লীগের সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে জামায়াত-শিবিরের হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছেন।
নীলফামারীতে নূরের গাড়ির বহরে হামলাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বা দায়িত্বশীল কোনো কর্তৃপক্ষ তাদের নিহত হওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। সংঘর্ষে সহকারী পুলিশ সুপার শফিউল ইসলামসহ কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে জামায়াত দুজনকে ও আওয়ামী লীগ তিনজনকে নিজেদের নেতাকর্মী বলে দাবি করেছে।
নিহতরা হলেন আবু বক্কর সিদ্দিক (৪২), খোরশেদ চৌধুরী (৫৫), ফরহাদ হোসেন (২৫), মুরাদ হোসেন (২০) ও খয়রাত হোসেন (তার বয়স জানা যায়নি)। গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তারা নিহত হয়েছেন। আসাদুজ্জামান নূর বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের দেওয়া আগুনে ভষ্মীভূত পলাশবাড়ী বাজার ও লক্ষ্মীচাপ বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে রামগঞ্জ হয়ে নীলফামারী শহরে আসার সময় রামগঞ্জ বাজারের কাছে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা কয়েক শ’ জামায়াত-শিবিরকর্মী লাঠিসোঠা ও ছোরা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় অন্তত ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। দুই পক্ষের মধ্যে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ অবস্থায় এমপি নূর ও তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা নীলফামারী আসার পথে পুনরায় মাঝপথে জামায়াত-শিবিরকর্মীদের বাঁধার মুখে পড়েন। চারদিক থেকে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা হামলা চালালে এখানেও শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।
প্রায় সোয়া ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ পাহারায় সাংসদ নূর তার নীলফামারীর বাসভবনে পৌঁছান।
নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার শফিউল ইসলাম নূরের গাড়িতে হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষে তিনি নিজেও আহত হন। একই সঙ্গে তার গাড়িসহ পুলিশের আরও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে দাবি করেন। তবে তিনি হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি।
(দ্য রিপোর্ট/ওএস/এমসি/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩)