লালমনিরহাট সংবাদদাতা : কাদের মোল্লার ফাঁসির প্রতিবাদে ডাকা হরতালের মধ্যে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে শিবির সভাপতিসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো সাতজন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কাফির বাজার এলাকায় এ সংষর্ঘ হয়। এ সময় শিবিরের দুইজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। তবে আরেকজন শিবিরকর্মী নিহত হওয়ার কথা তিনি নিশ্চিত করেননি।

নিহতরা হলেন- উপজেলার শিবিরের সভাপতি মনিরুল ইসলাম (২৮), শিবিরকর্মী আবদুর রহিম (২৯) ও সাজু ইসলাম (১৮)। নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাটগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি জানান, হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে শিবিরের দুই নেতাকর্মী নিহত হন।

লালমনিরহাট জেলা শিবিরের সভাপতি লাভলু ইসলাম ও উপজেলা জামায়াতের আমির আনিসুল ইসলাম জানান, পুলিশের গুলিতে শিবিরের তিন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সাতজন শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে বেলাল ও রহিম অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিবিদ্ধরা বর্তমানে পাটগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎিসাধীন রয়েছেন।

শিবির সভাপতি লাভলু জানান, ১১টা ২০ মিনিটের দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজু ইসলাম মারা যান।

ওসি সোহরাব হোসেন জানান, এ ঘটনার পর জামায়াত-শিবিরকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের লাবলুসহ দুই সমর্থকের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। তারা সড়কের উপর গাছের গুড়ি ফেলে পাঁচ কিলোমিটার অবরোধ করে করে রেখেছে। নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/টিআই/এসবি/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩)