ওবায়দুল চঞ্চল : আন্তর্জাতিক সাইক্লিং ফেডারেশন থেকে ২০টি রেসিং বাই-সাইকেল অনুদান হিসেবে পেয়েছিল বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন। চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে ফেডারেশনে আসার পর সাইকেলের সংখ্যা ১৮-তে নেমে গেছে। ২টি সাইকেল উধাও! কিভাবে; কোথা থেকে ২টি সাইকেল উধাও হলো এর পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না সাইক্লিং ফেডারেশনের কেউ।

তবে চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে সাইকেল ২টি উধাও হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ খান বাবুল। রবিবার তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সাইক্লিং ফেডারেশন অনেক আগেই আমাদের জন্য ২০টা সাইকেল অনুদান দিয়েছিল। আমরা জানতে পারি অনেক পরে। পোর্ট থেকে যখন সাইকেলগুলো অকশনের জন্য নেয়া হচ্ছিল তখন খবর পাই। পরে তারা আমাদের কাছে ৯ লাখ টাকা ট্যাক্স দাবি করে। অনেক দেন দরকার শেষে সাড়ে ৬ লাখ টাকায় সাইকেলগুলো ছাড়িয়ে আনি। আন্তর্জাতিক সাইক্লিং ফেডারেশন ২০টা সাইকেল পাঠিয়েছে এমন জানালেও আমরা পেয়েছি ১৮টা। পোর্ট থেকে অকশনে নেয়ার সময়ই হয়তো ২টি সাইকেল মিসিং হয়েছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘সাইকেলগুলো একটা প্যাকেটে ছিল। আমরা পোর্ট থেকে একটা অ্যাজেন্টের মাধ্যমে সাইকেলগুলো এনেছি। পথে যদি মিসিং হয় তাহলেও আমাদের কিছু করার ছিল না।’ অ্যাজেন্টের নাম কি, তাদের সঙ্গে কি এ নিয়ে কথা বলেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে বাবুল বলেছেন, ‘অ্যাজেন্টের নাম আমার জানা নেই। এটা কোষাধ্যক্ষ জানেন। তিনি ২ দিনের ছুটিতে আছেন।’

কোষাধ্যক্ষের ফোন নাম্বার চাইলে তিনি বলেছেন, ‘তার নাম্বার দেয়া যাবে না। তিনি সিরিয়াস এক প্যাসেন্ট নিয়ে আছেন। তাকে বিরক্ত করা ঠিক হবে না।’

সাইকেলগুলো আনুমানিক দাম কত হবে। অনেকে বলছে একটা সাইকেলের দাম হবে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। এ বিষয়ে বাবুল বলেছেন, ‘২০ হাজারও হতে পারে আবার এর বেশিও। ব্যবহার করা সাইকেল তো তাই সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা যাবে না।’ এতো কম দাম হলে ট্যাক্স দিয়ে সাইকেলগুলো আনলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এই সাইকেলগুলো তো বাংলাদেশে নেই। ওরা খুব ভালো মানের সাইকেল রেসে ব্যবহার করে। এগুলোও তেমনই হতে পারে।’

(দ্য রিপোর্ট/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৩)