‘বিএনপি দেশকে তালেবান ও পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করছে’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সংসদ বর্জন জাতীয় উন্নয়নের অন্তরায়’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যডভোকেট কামরুল ইসলাম শনিবার একথা বলেন।
‘২৫ অক্টোবরের পর খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে’- বিরোধী দলীয় নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দেশ পরিচালনা করবে। এর ব্যত্যয় ঘটবে না। বিরোধী দলের বন্ধুরা সংবিধানের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌক্তিকতা এখন আর নেই উল্লেখ করে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির রাজনীতি করে না। ভোট ডাকাতির অভ্যাস বিএনপির, আওয়ামী লীগের নয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বিএনপি কোনো কারণ ছাড়াই সংসদ বর্জন করছে এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ’৯৬-এর আগে সংসদ বর্জন করেছিলাম, পদত্যাগ করেছিলাম। আমরা যখন সংসদ বর্জন করেছিলাম তখন তা ছিল যৌক্তিক। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে গেলেও অযৌক্তিকভাবে সংসদ বর্জন করবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে সংসদ বর্জনের নিয়ম চালু নেই। যারা সংসদ বর্জন করছে তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। তাই আগামীতে যারা সংসদ বর্জন করবে তাদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকাতে হবে।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে দাবি করে আাওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘কোনো প্রতিহিংসা থেকে হয়ে এই বিচার করা হচ্ছে না। যাদের বিচার করা হচ্ছে তারা সবাই শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধী। এমন মাপের যুদ্ধাপরাধী আওয়ামী লীগে নেই। থাকলে তাদের আগামীকালই গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক খান মাঈনুল ইসলাম মোস্তাক ও ফরিদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম।
(দিরিপোর্ট২৪/জিলানি/জেএম/অক্টোবর ০৫, ২০১৩)