মিয়ানমারে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা নিয়ে জাতিসংঘে আলোচনা
হিউম্যান রাইটসের মতে, বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মুসলিমবিরোধী এ দাঙ্গা দেশটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ওপর হুমকিস্বরূপ।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের কর্মকর্তা টমাস ওজা কুইনটানা বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের এ দাঙ্গাটি বিশাল এলাকাজুড়ে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গায় পরিণত হয়েছে। এটা দেশটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার ওপর মারাত্মক হুমকি।’ রাখাইন অঞ্চলটি এখন গভীর সংকটে আছে বলেও তিনি জানান।
জাতিসংঘের তৃতীয় কমিটির অ্যাসেম্বলিতে তিনি বলেন, ‘মুসলিমদের বিশেষত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক এই আক্রমণের ঘটনা অবর্ণনীয়। ২০১২ সালের জুনে শুরু হওয়া এ দাঙ্গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সংম্পৃক্ততার বিষয়টি সত্যিই বর্ণনাতীত।’
ছড়িয়ে পড়া বর্ণবাদ মোকাবিলা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে আরো আন্তরিকতা প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
মিয়ানমার সরকারের তথ্যানুযায়ী ২০১২ সালের জুন থেকে অক্টোবরে রাখাইন বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গায় কমপক্ষে ১৯২ জন নিহত হয়েছে। বংশানুক্রমে এখানে অবস্থান করা সত্ত্বেও অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে এসে অবৈধভাবে বসবাস করছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির সরকার।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের মোট ৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে পাঁচ শতাংশ মুসলমান।
(দিরিপোর্ট২৪/এসকে/জেএম/অক্টোবর ২৫, ২০১৩)