বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক হচ্ছে না
প্রথমদিকে পদ্মা সেতু নিয়ে জটিলতার কারণে বৈঠকটি পিছিয়ে গেলেও পরবর্তীতে যোগ হয় রাজনৈতিক সংকট। নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত বিডিএফের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
প্রতি বছর দাতাদের নিয়ে এ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলে ও গত তিন বছরে তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০১১ সালের ২ ও ৩ নভেম্বর বিডিএফের বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু যাবতীয় প্রস্তুতির পরও শেষ পর্যন্ত দাতাদের কারণেই এটি বাতিল হয়ে যায়। কেননা এ ধরনের বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বা ওই পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বব্যাংকসহ অন্য দাতারা মধ্যমসারির কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের ইঈিত দিলে এ বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। কেননা বিডিএফ হচ্ছে দাতাদের সঙ্গে সর্বোচ্চ বৈঠক। এতে দাতা সংস্থাগুলোর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ না থাকলে উদ্দেশ্য পূরণ হয় না বলে মনে করে ইআরডি।
এর আগে সর্বশেষ গত ২০১০ সালের ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয় বিডিএফের বৈঠক। সেখানে সাতটি খাতে ২৫টি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। এর জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দেখা হয়েছিল।
পরবতীতে ওই বছরে ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বিডিএফ মূল্যায়ন বৈঠক।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা গেছে, ২০১০ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি বিশ্লেষণে সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জ্বালানি খাত। দাতাদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনাগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেনি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। বিডিএফ ও জাতীয় কৌশল, যৌথ সহায়তা কৌশল ও বিদেশি সহায়তার কার্যকারিতা, প্রাকৃতিক সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবহন ও যোগাযোগ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা অগ্রগতি ছিল ধীর।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০২ সালে প্যারিসে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্যারিসে নয় উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়।
সে হিসাবে ২০০৩ এবং ২০০৪ সালে ঢাকাতেই বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর আর বৈঠক হয়নি। পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সময়ে এ ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সরকারের জনভিত্তি না থাকায় উন্নয়ন সহযোগীরা বৈঠকে বসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। এরপর দীর্ঘ ৫ বছর পর ২০১০ সালে এসে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর অনুষ্ঠিত হয় সর্বশেষ বৈঠক।
(দিরিপোর্ট২৪/জে/জেএম/অক্টোবর ২৫, ২০১৩)