রাবি প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) খোলা থাকলেও বিরোধী দলের নাশকতার দায়ে পুলিশের ধরপাকড় থেকে রক্ষা পেতে ও জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত তিনদিনে ক্যাম্পাস থেকে ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছে। শিক্ষার্থী না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি আবাসিক হলের ডাইনিং ব্যবস্থা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।

জানা গেছে, রাজশাহীতে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ পালন করার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরে গত মঙ্গলবার সকালে শিবিরকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে নগরীর মতিহার থানার ওসি আব্দুল মজিদসহ পুলিশের অন্তত ৫ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনার পরে ওই দিন নগরীর বিনোদপুর, মির্জাপুর, ডাসমারী ও কাজলা এলাকায় সারাদিন অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২৫ জনকে আটক করে। পুলিশ তাদের শিবির বলে দাবি করলেও বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের প্রচার সম্পাদক জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেছেন, আটক ২৫ জনের কেউই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী।

এরপরে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পরে অবস্থা আরও খারাপ হযে যায়। এদিকে পুলিশ সন্ধ্যার পরে শিক্ষার্থীদের মারধর ও মেসগুলোতে শিবির ধরার নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আটক করার কারণে মূলত রাবি হয়ে ওঠে আতঙ্কময়। তাই ক্যাম্পাস খোলা থাকলেও নিরাপত্তার জন্য অনেকে বাড়ি চলে গেছে।

হরতাল-অবরোধের কারণে বিভিন্ন বিভাগ শুক্র ও শনিবার ক্লাস-পরীক্ষা নিতে থাকলেও শেষ পর্যায়ে এসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরীক্ষা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়।

বাড়ি চলে যাওয়া দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তমাল ও রাসেল জানায়, আমাদের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হলেও হরতালের কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আমরাও এখন বাড়ি চলে যাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তারিকুল হাসান বলেন, ‘সারা দেশের মতো রাজশাহীর অবস্থাও খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা চাইলেও ক্লাস-পরীক্ষা নিতে পারছি না। তাই শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বাড়ি চলে গিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএএ/এমসি/ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩)