দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদন : অতিথিদের সালাম, অভিনন্দন আর বুক পাঁজরে ভালোবাসার সৌরভ ছিটাচ্ছিলেন কালো স্যুট পড়া সাকিব আল হাসান। তার পাশে কখনো দাঁড়িয়ে, কখনো সোফায় বসে ফটোশিকারীদের বায়নাও পূরণ করেছেন একবছরের পুরানো অর্ধাঙ্গিনী শিশির। সাবিয়া স্যাচির ডিজাইন করা লাল লেহেঙ্গা আর ডায়মন্ডের অলঙ্কার পড়া শিশিরকে আলোর বাতাবরণে অন্য রকম লাগছিল। সেখানে ম্লান হয়ে গেছে এক বছর পর আয়োজনের হিসেব-নিকেশ।

১৫ ডিসেম্বর, রবিবার ঠিক ১ বছর ৩ দিন পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে ২ হাজার আমন্ত্রিত অতিথির উপস্থিতিতে সাকিব-শিশিরের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অবয়ব ছিল এমন চোখ ঝলমলে। এই জমকালো অনুষ্ঠানে পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরাও উপস্থিত ছিলেন।

সাকিব যেভাবে ক্রিকেটের রেকর্ড বুকে শীর্ষস্থান দীর্ঘদিন ধরে রেখে অবাক করেছেন, ঠিক সেভাবে অবাক করেছেন বিয়ের তারিখ নির্ধারণে, ১২.১২.১২! দেখতে দেখতে কেটে গেছে প্রায় এক বছর। বড্ড দেরিতেই বিবাহোত্তর সংবর্ধনার কাজটি সম্পন্ন করেছেন রবিবার রাতে।

এখানে ক্রিকেটার, ক্রিকেট ও ক্রীড়া সংগঠকরাই শুধু যোগ দিয়েছেন এমনটা নয়। এসেছিলেন বিভিন্ন সেলিব্রেটিরাও। জামাতের হরতালের চাদরে মোড়া শহরে সব ধরনের শঙ্কা উড়িয়ে এই বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় এসেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য ছিলেন উপস্থিত এই অনুষ্ঠানে। ছিলেন মুশফিকুরসহ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা, ফজলে নূর তাপস, আনিসুল হক, সুবর্ণা মোস্তাফা, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও স্ত্রী তিশা, নওশীন ও হিল্লোল দম্পতি, কন্ঠশিল্পী কনা প্রমুখ। সাকিবের খুব কাছের যারা সেই মিডিয়ার প্রতিনিধিরাও এসেছিলেন এই দম্পত্তিকে প্রাণিত করতে।

গত ১৩ ডিসেম্বর হোটেল র‌্যাডিসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে গায়ে হলুদ। সেখানের হই-হুল্লুড়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ, সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানসহ জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই।

সাকিব তার বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় দাওয়াত দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদকে। যদিও তারা কেউ আসেননি।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার প্রতি কৃজ্ঞতা ঢেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বলেছেন, ‘যারা এসছেন, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ পরক্ষণেই যোগ করেছেন, ‘স্বাচ্ছন্দেই আমারা একটি বছর অতিবাহিত করেছি। বছরটি ছিল আমার জীবনের অন্যতম সেরা বছর। আশা করছি সামনের দিনগুলো দারুণ কাটবে। আমি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থণা করছি।’

(দ্য রিপোর্ট/এএস/ওআইসি/ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩)