‘বাংলাদেশ আজ রক্তাক্ত’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : লিবারেল ডেমোক্রিটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেছেন, মহান বিজয় দিবস খুশির দিন হলেও দু:খের সঙ্গে বলতে হয়ে সমগ্র বাংলাদেশ আজ রক্তাক্ত।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সোমবার সন্ধ্যায় মহান ‘বিজয় দিবস’ উপলক্ষ্যে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে অলি আহমেদ বলেন, ‘জেদাজেদি, একগুঁয়েমি ও প্রতিশোধ পরায়ন না হয়ে সকলের অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। যতদিন বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে ততদিন কেউ এটি অস্বীকার করতে পারবে না।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, ‘সারাদেশ এক টুকরো জেলখানা হয়ে গেছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে জাতিতে মুক্ত করতে হবে।’
বাংলাদেশ একটি কারাগার- এমন অভিযোগ করে জমির উদ্দিন সরকার বলেন, সরকার বিজয় দিবসের মূলমন্ত্র ধরে রাখতে পারেনি। এজন্য বিজয় দিবস সফলতা লাভ করে বিজয় দিবসের সাফল্য ধরে রাখতে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়াই যেভাবে প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এরা নির্বাচনের পরেই পাশের দেশে পালিয়ে যাবে।’
সরকারকে ‘সন্ত্রাসে’র সরকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে ৫ জানুয়ারির আগেই সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানো হবে বলেও হুশিয়ারি করেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিজয়ের মাসেও সরকার নির্যাতন অব্যাহত রেখে মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করেছে। বিজয় দিবসেও পুলিশ গুলি চালিয়ে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যতই চেষ্টা করেন না কেন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না।’ গত পাঁচ বছরে যত খুন হয়েছে স্বাধীনতার ৪২ বছরে তা হয়নি বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের স্বার্থের জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে।’ তাই দুই নেত্রীর বাসা ঘেরাও না করে প্রধানমন্ত্রীর বাসা ঘেরাও করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/জেএম/ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩)