দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : এই ম্যাচ জয় মানেই অ্যাসেজ শিরোপা। আছে প্রতিশোধের আগুণও। অস্ট্রেলিয়ার একটুও ভুল করেনি। বিজয়ের পথ ক্ষাণিকটা প্রলম্বিত করে রেখেছেন ইয়ান বেল ও বেন স্ট্রোক; এই যা।

কারণ অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য ৫ উইকেট প্রয়োজন। পূর্বাতিহাস বলছে অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা হয়তো মঙ্গলবার প্রথম সেশনেই ইতি টেনে দেবেন ম্যাচের। কিন্তু ক্রিকেটীয় পরিভাষায় তা লিখা; রীতিশুদ্ধ নয়। তবে ভয়ানক চাপের মুখে অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন বেল-স্ট্রোক। তারা পঞ্চম উইকেটে ৯৯ রান তুলে নিভে যাওয়ার আগে কিছুটা আশার আলো টিমটিম করে জ্বালিয়ে রেখেছেন। নিজ গতিপথের অনেক দূরে সফরকারীরা। চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে অ্যালিস্টারবাহিনীর রান ২৫১। আগামীকাল পঞ্চম দিনে স্বপ্নজয়ের জন্য তাদের বাকি ৫ উইকেটে তুলতে হবে ২৫৩ রান। যা অক্রিকেটীয় ভাবনাও বটে!

৫০৪ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে দারুণভাবে শুরু করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। ১২১ রানেই ইংল্যান্ডের ৪টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন হ্যারিস-জনসনরা। তখনই হাসিহাসি মুখে আগাম উপলক্ষ্যের কথা চোখের ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু স্বাগতিকদের অপেক্ষা লম্বা করেছেন ইয়ান বেল ও বেন স্ট্রোক। চাপের মুখে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছেন ওই দুই ব্যাটসম্যান। অবশ্য চতুর্থ দিনের শেষভাগে ৬০ রান করে ফিরে গেছেন বেল। তবে স্ট্রোক এখনো ঠাঁয় আলো হয়ে জ্বলছেন। তার দিকেই এখন তাকিয়ে সমর্থকেরা। ৭২ রান করে অপরাজিত রয়েছেন এই তরুণ ব্যাটার।

পর্বতসম টার্গেট যখন সামনে; তখন নেমেই বিপাকে পড়েছিল ইংল্যান্ড। হ্যারিসের প্রথম বলেই কুক বোল্ড! ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করছিলেন কারবেরি ও জো রুট। তাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এবার বিদায়ের কাতারে কারবেরি (৩১)। জো রুট ও পিটারসেন লড়াই করচ্ছিলেন কিছুক্ষণ তখন জনসনের গোলা। রুট ফিরেছেন ১৯ রানে। আর পিটারসেন ৪৫।

দ্য রিপোর্ট/এএস/ওআইসি/ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩