বাংলা একাডেমিতে বিজয় দিবস উদযাপন
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলা একাডেমি।
সোমবার সকালে একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় উপস্থিত একাডেমির সচিব আলতাফ হোসেন, পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী, মোহাম্মদ আবদুল হাই, শাহিদা খাতুন এবং একাডেমির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
বিকেল ৩টায় একাডেমির রবীন্দ্রচত্বরে মহান বিজয় দিবস স্মারক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। ‘মুক্তিযুদ্ধ, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও ইতিহাসের অধিকার‘ শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
শামসুজ্জামান খান বলেন, একাত্তরের গণহত্যাকারীরা আজ আবার নতুন করে হত্যার উৎসবে মেতে ওঠেছে। তবে আশার কথা বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্রগঠনের অভিযাত্রায় মিলিত হয়েছে। বিজয়ের বেয়াল্লিশ বছর পেরিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক-আধুনিক-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার উল্লেখযোগ্য অগ্রগমন হিসেবে বিবেচিত হবে নিঃসন্দেহে।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিলো সেক্যুলার-সিভিল-গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা কিন্তু দুঃখের বিষয় পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর গোটা রাষ্ট্র ও সমাজে ধর্মান্ধতা-সামরিকায়ন ও পশ্চাদগামী পাকিস্তানপন্থার পুনরুজ্জীবন ঘটানো হয়েছে। একত্তরে বাংলাদেশে সংঘটিত পৃথিবীর ভয়াবহ গণহত্যার সুদীর্ঘ বিচারহীনতা সমাজকে দায়হীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। তবে আশার কথা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রদত্ত রায়সমূহের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ চার দশকের বিচারহীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তির পথে অগ্রসর।
অনুষ্ঠানস্থলে ৪:৩১মিনিটে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের বিজয় মঞ্চের সঙ্গে সংহতি জ্ঞাপন করে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী কল্যাণী ঘোষ এবং মনোরঞ্জন ঘোষালের নেতৃত্বে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছড়া পাঠ করেন রফিকুল হক, আখতার হুসেন, খালেক বিন জয়েনউদ্দীন, ফারুক নওয়াজ, আসলাম সানী, আমীরুল ইসলাম, আলম তালুকদার, রিফাত নিগার শাপলা, আনজীর লিটন এবং আহমেদ কায়সার। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, কল্যাণী ঘোষ, ফাতেমা তুজ জোহরা এবং স্বর্ণময়ী মন্ডল।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩)