চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চরম আতঙ্কে রয়েছে চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কে চলাচলকারী গাড়ি চালকরা। বিরোধী জোটের প্রতিটি হরতাল অবরোধে এই সড়কের কেরানীহাট-বান্দরবান অংশে গাড়ি ভাঙচুর এবং চালকদের নাজেহালের ঘটনা ঘটছে। ফলে এবার অবরোধ শুরুর আগেই সোমবার রাত ৮টার পর থেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চালকরা।

বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাস চালক সমিতির সভাপতি নুরুল আলম জানান, ১৮ দলীয় জোটের কয়েক সপ্তাহের অবরোধ আর হরতালে এই সড়কে প্রায় ২শ গাড়ি ভাঙচুর করেছে পিকেটাররা। শুক্রবার রাতে অবরোধ না থাকলেও তারা হলুদিয়া এলাকায় ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তারা শুধুই গাড়ি ভাঙচুর করে না, চালকদের মারধরও করে। তাই সোমবার রাত আটটা থেকেই আমরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।

পুরবী-পূবানী বাস মালিক সমিতির সভাপতি কাসেম ডিলার জানান, ডেলিপাড়া এবং হলুদিয়ায় প্রতিরাতেই গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। এ পর্যন্ত আমাদের শতাধিক গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যাওয়া চম্পক চক্রবর্তী মোবাইল ফোনে জানান, আমি সকালে জরুরি কাজে বান্দরবান এসেছি। কাজ সারতে দেরি হওয়ায় আর ফিরতে পারিনি। কারণ রাত সাড়ে সাতটা থেকে এই সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চালকেরা।

এই বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ জানান, বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়া জামায়াত-শিবিরের শক্ত ঘাঁটি। পুলিশের শক্ত প্রহরার পরও জামাত-শিবিরকর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। আমরা সতর্ক রয়েছি ভাঙচুর রোধে।

বান্দরবান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ জানান, এই সড়কের কিছু কিছু জায়গায় গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে গাড়ি ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। ভাঙচুর রোধে ইতিমধ্যে সড়কটিতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচএস/এপি/ডিসেম্বর ১৬, ২০১৩)