রাজধানীতে মাঠে নেই ১৮ দল, বিএনপি অফিস নেতাশূন্য
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেক : বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট নির্দলীয় সরকার ও নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে কয়েক দিন বিরতির পর মঙ্গলবার সারাদেশে আবার টানা ৭২ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে। ঢাকার বাইরে রাজপথে উত্তাপ ছড়ালেও প্রতিবারের অবরোধের মতোই এবারও রাজধানীতে মাঠে নেই ১৮ দলের নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেই বিএনপির কোনো নেতাকর্মী।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার সন্ধ্যায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি অবরোধ কর্মসূচিতে কোন ধরনের বাধা না দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার সকালে অবরোধের শুরুতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বিএনপি কর্মীরা ঝটিকা মিছিল বের করে কয়েকটি হাতবোমা ফাটায়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তারা সরে যায়। রাজধানীর বিজয় সরণিতে হাতবোমা বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া রাজধানীতে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি বিএনপি ও ১৮ দলের নেতাকর্র্মীদের।
রাজধানীর সব সড়কে রিকশা, অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল করলেও গণপরিবহনের সংখ্যা কম। অবশ্য লঞ্চ ও রেল চলাচল স্বাভাবিক বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এছাড়া রাজধানীর মহাখালী, সায়েদাবাদ ও গাবতলী বাস র্টামিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
সতর্ক আবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভোর ৬টায় অবরোধ শুরুর আগেই রাজধানীর সড়কগুলোতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে তল্লাশি করতেও দেখা গেছে।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দিন ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ১৮ দল। এরপর ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর এবং ৭ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও দুই দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। চার দিন বিরতির পর চতুর্থ দফার অবরোধ চলছে।
গত ৩০ নভেম্বর শুক্রবার মধ্য রাতে গ্রেফতার হন দলের যুগ্ম মহাসচিব ও দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। এর পর মুখপাত্রের দায়িত্ব দেয়া হয় দলের আরেক যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে। কিন্তু তাকে এখন পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি। অজ্ঞাতস্থান থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অবরোধের পরিস্থিতি তুলে ধরার কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। পরবর্তীতে দপ্তরের দায়িত্ব দেয়া হয় দলের আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনকে তিনিও এখন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেননি। এছাড়া কোনো নেতাকর্মী আসনেনি। মূল ফটকে তালা ঝুলছে।
বিএনপির কার্যালয়ে ৬/৭ জন অসিফ স্টাফ ছাড়া কোনো নেতাকর্মী দেখা যায়নি। অফিস স্টাফ মো. রফিকুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে জানান, ‘গত ৩০ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত দলের কেনো নেতাকর্মী অফিসে আসেননি। শুধূমাত্র আমরাই আছি।’
(দ্য রিপোর্ট/ এমএইচ /শাহ/ এমডি/ ডিসেম্বর ১৭, ২০১৩)