যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষে আ.লীগ নেতা খুন

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : জেলার কালিগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম আলীকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে জামায়াত-শিবির বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বেলা তিনটায় উপজেলার চৌমুহনী বাজারে তার মাথায় ও মুখে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি উপজেলার চাচাই গ্রামে।
এ সময় আহত হন চাঁচাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাসেম আলী (৫০) ও আওয়ামী লীগকর্মী মাদার মোড়লের ছেলে দিদার মোড়ল (২৮)।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী হতাহতের খবর নিশ্চিত করে জানান, সকাল থেকে বিষ্ণুপুর ও তার আশপাশের এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছিলেন। এ অভিযানে সহযোগিতা করছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেমউদ্দীন। যৌথ বাহিনী অভিযান শেষে সেখান থেকে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত-শিবির তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ দিকে এ ঘটনার পর সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরীর নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চলছে।
বিশেষ অভিযানের মধ্যেও এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জামায়াত-শিবিরের চ্যালেঞ্জ কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অভিযান স্থল থেকে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, জামায়াত-শিবিরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যৌথ বাহিনী প্রস্তুত।
যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, চারজনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন সরাসরি এ হত্যার সঙ্গে যুক্ত বলেও নিশ্চিত করেছেন জয়দেব চৌধুরী।
কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অহেদুজ্জামান জানান, জামায়াত-শিবিরের অব্যাহত সহিংসতায় বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিন সহায়তা করছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা তাকে হত্যা করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, গত দু’দিনের বিশেষ অভিযানে সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ ফিরে এসেছিল।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনা জামায়াত-শিবিরের চ্যালেঞ্জ ধরে নিতে হয়।
অভিযান অব্যাহত থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/এমআর/এসবি/নূরু/ডিসেম্বর ১৭, ২০১৩)