বঙ্গভবন থেকে গণভবনে বিশ্বকাপ ট্রফি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিশ্বকাপের আসল ট্রফি দেখে নিজেও বেজায় উচ্ছ্বসিত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার বঙ্গভবনে বাংলাদেশে প্রথম আসা ফিফা বিশ্বকাপ আবেগাপ্লুত হয়েই দুই হাতে তুলে ধরেছেন। ঠিক যেভাবে শিরোপাজয়ী খেলোয়াড়রা তোলেন। বঙ্গভবন থেকেই বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আসা হয় গণভবনে। সেখানে খুব কাছ থেকে বিশ্বকাপের আসল ট্রফি ছুঁয়ে দেখেছেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্ব সফরের অংশ হিসেবে এটি এখন বাংলাদেশে রয়েছে। থাকবে ৩দিন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), ফিফা এবং ফিফার করপোরেট পার্টনার কোকাকোলা’র কর্মকর্তাদের ৪৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার বিকেলে ট্রফিটি প্রধানমন্ত্রীকে দেখাতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে
ফিফা ও বিএফএফ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৩৬ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যর এই স্বর্ণের ট্রফিটি উন্মুক্ত করেছেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলেন।
অন্যান্যের মধ্যে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, জাতীয় ফুটবল দলের কোচ লোডেওইক ডি ক্রুইফ এবং প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ফিফার প্রতিনিধি দল একটি ভাড়া করা বিমানে বিশ্বকাপ ট্রফিটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রিও ডি জেনিরিও থেকে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি ভ্রমণ শুরু হয়েছে। ৯০টি দেশে এই ট্রফি যাবে। বাংলাদেশে ৩ দিন অবস্থান করার পর আগামী ২০ ডিসেম্বর এটি ভুটানে যাবে।
এর আগে এদেশে বিশ্বকাপের রেপ্লিকা ট্রফি এসেছে। ৩ বারের বেশি বিশ্ব পরিভ্রমণের সমান ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার পথ ভ্রমণের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এই আসল ট্রফি বাংলাদেশে পৌঁছায়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিকেল ৩টায় বঙ্গভবনে ট্রফি গ্রহণ করেন এবং প্রকৃত ফুটবল প্রেমিকের ন্যায় উদ্দীপ্ত হয়ে সেটি মাথার উপরে তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রপতি ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির ভ্রমণে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করায় ফিফা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আসল ট্রফিটি স্টেডিয়ামে প্রদর্শন করা হলে হাজার হাজার স্থানীয় ফুটবল অনুরাগীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হবে।
ট্রফিটি ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রদর্শনের কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তা বাতিল করা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এএস/সিজি/নূরু/ডিসেম্বর ১৭, ২০১৩)