নাটকীয়তার সমাপ্তি; রেডিসনেই থাকছে ট্রফি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিশ্বকাপ ফুটবলের মূল ট্রফি এখন ঢাকায়। সেই ট্রফি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আনা হবে কি; হবে না-এই নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর বিস্তর নাটক-আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তার ধার-পাশেও যায়নি বাফুফের কর্মকর্তারা। অথচ রাতের বেলাই বাফুফের সভাপতি নিশ্চিত করেছেন, রেডিসনেই থাকছে বিশ্বকাপ ট্রফি। তা হলে কেনো এতো নাটক; প্রশ্ন উঠছেই। অফিসিয়াল ব্রিফিংয়ে না বললেও বাফুফে সভপতি কাজী মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, ‘শেষ পরযন্ত ফিফার অনুরোধে আমরা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ট্রফি নিচ্ছি না। ট্রফি রেডিসনেই রাখা হচ্ছে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই এর প্রদর্শন প্রক্রিয়া চলবে।’
মঙ্গলবার সকাল থেকেই গুঞ্জণ চলছিল; বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নিরাপত্তাজনিত কারণে বিশ্বকাপের ট্রফি আনা হচ্ছে না। ট্রফি ঢাকার মাটি স্পর্শ করেছিল সেই বেলা ১২টা ২৫ মিনিটেই। বঙ্গভবন-গণভবন হয়ে সন্ধ্যায় তা আনা হয়েছিল হোটেল রেডিসনে। সেখানে বাফুফে সংবাদ সম্মেলনে অফিসিয়ালি বিষয়টি পরিস্কার করবে। অপেক্ষায় মিডিয়ার প্রতিনিধিরা। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১ ঘন্টা ১০ মিনিট পর শুরু হয়েছে সংবাদ সম্মেলন। সেখানে ট্রফি কোথায় রাখা হচ্ছে সে ব্যাপারে কোনো কথাই বলেননি বাফুফের কর্মকর্তারা। গদবাঁধা কিছু বক্তব্য আর কালো কাপড়ে ঢাকা ট্রফি উন্মোচন করেই বাফুফের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন।
রেডিসনে আয়োজনের এক প্রান্তে পাওয়া গেল বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুশের্দীকে। তিনি বলেছেন, বাফুফের সভপতি কাজী সালাহউদ্দিনের মুখ থেকেই আপনারা শুনুন। কিন্তু সভাপতি; কাউকে আর পাওয়া যায়নি কথা বলতে। নৈশ্যভোজে পাওয়া গেল বাফুফের সদস্য ও বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুরের সিকিউরিটিস কমিটির চেয়ারম্যান ডিআইজি মারুফ হাসান। তিনিও এ বিষয় নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেছেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ট্রফি আসার পর থেকে আমরা এটাকে ভিআইপি মর্যাদা দিয়ে আসছি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ট্রফি থাকবে না অন্য কোথাও নেয়া হবে; এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে যদি ট্রফি আনা হয় তাহলে স্টেডিয়ামের কোকাকোলার সরঞ্জামাদি কেন সরিয়ে নেয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেনি। আমি সকাল থেকেই এয়ারপোর্টে ছিলাম। আমি এখনও বলছি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। নিরাপত্তার বিষয়ে একশত ভাগ গ্যারান্টি আমরা দিতে পারি।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এএস/সিজি/নূরু/ডিসেম্বর ১৭, ২০১৩)