রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে আনার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত আসছে। বুধবার সচিবালয়ে ‘ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ’ (ডিএসই)-এর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে ইতোপূর্বে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে এ বিষয়ে ধীরগতিতে চলার জন্য বিএসইসি-কে তখন বলা হয়েছিল। এখন এ বিষয়ে পুনরায় অগ্রসর হওয়ার জন্য বিএসইসি-কে বলা হয়েছে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।’’
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল পুঁজিবাজারকে ‘মেজর সোর্স অব বিজনেস’ হিসেবে রূপান্তর করা। পুঁজিবাজারের স্বার্থে ও বাজারকে স্থিতিশীল করতে অনেক আইনগত পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং কিছু সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়েছে।”
মহাজোট সরকারের আমলের শেয়ারবাজারের ধস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তখন অনেক শেয়ারই অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়েছিল। যথাসময়ে রাশ টেনে ধরা সম্ভব হয়নি। যাহোক, একটা টাল-মাটাল পরিস্থিতি আমরা অতিক্রম করতে পেরেছি। তবে পুঁজিবাজারে ওঠা-নামা হবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে পুঁজিবাজারে আগের তুলনায় বিনিয়োগ অনেক বেড়েছে।”
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ডিএসই’র পক্ষ থেকে ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ৫ বছরের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে কর অবকাশ সুবিধা প্রদান, স্বতন্ত্র ক্লিয়ারিং কোম্পানি গঠন এবং স্ট্যাম্পের ওপর আরোপিত কর ১ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস করার দাবি জানানো হয়। বুধবার ডিএসইর পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজের শাখা বাড়ানোরও দাবি জানানো হয়েছে বৈঠকে। এ সময় বর্তমানে দেশের শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রয়েছে এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে সঙ্কট কাটিয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন ডিএসই নেতারা।
দাবিসমূহের বিষয়ে ডিএসই’র পরিচালক আহমেদ রশীদ লালী বলেন, “পুঁজিবাজারের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে এগুলো প্রয়োজন। ডি-মিউচ্যুলাইজেশন বাস্তবায়নের জন্য এগুলো স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। এখন ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে এগুলোর জন্য প্রথমেই নীতিমালা করতে হবে।”
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিএসইসি চাইলে ডিএসই এসব নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করতে পারে। পরবর্তীতে বিএসইসি এটা পরিমার্জন ও চূড়ান্ত করবে।”
বৈঠকে উপস্থিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. আসলাম আলম বলেন, “ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন যেটা বাস্তবায়িত হয়েছে সেটা এখন পর্যন্ত শুধু কাগজে-কলমে। বাস্তবে কতটুকু কার্যকর হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।’’
এ বিষয়ে তিনি স্টক এক্সচেঞ্জের সহযোগিতা কামনা করেন।
দ্য রিপোর্ট/এসআর/এইচকে/নূরু/ডিসেম্বর,১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩