বিশ্ব পরিসংখ্যান বর্ষ পালিত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব পরিসংখ্যান বর্ষ। দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে মানব কল্যাণে পরিসংখ্যান। এর অংশ হিসাবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অডিটরিয়ামে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী কর্মশালা ও তথ্য মেলার। বুধবার পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব নজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম মোসলেহ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালক সামছুল আলম।
কর্মশালায় জানানো হয়, পৃথিবীব্যাপী সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, আর্থিক কোম্পানি, মতামত যাচাইকারী ফার্ম, প্রচারাভিযান, সামাজিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞানীদল, সংবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত পরিসংখ্যান তৈরি ও ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যাওয়ায় সঙ্গত কারণে বর্তমানে এ পরিসংখ্যানের বিষটি বাংলাদেশে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তর থেকেই পড়ানো হচ্ছে। এক সময় ছিল, পরিসংখ্যান পড়ানো শুরু হতো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে। কালের পরিক্রমায়, যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিসংখ্যান বিষয়ের ব্যাপক প্রয়োগ ও প্রয়োজনের ফলে পৃথিবীব্যাপী পরিসংখ্যান স্কুল পর্যায় থেকেই পড়ানো হচ্ছে এবং পরিসংখ্যানকে পেশা হিসাবে নিয়ে ক্যারিয়ার গঠন করছে অনেকেই। হিসাব অনুযায়ী আগামি ২০১৫ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন পরিসংখ্যানবিদ বিশেষ করে বড় ডাটা ভিত্তিক, ডাটা মাইনিং এর বিশ্লেষক (এনালিস্ট) এর প্রয়োজন হবে। খোদ আমেরিকাতেই এর প্রায় অর্ধেক লোক নিয়োগ প্রাপ্ত হবে। বিশ্বব্যাপী পরিসংখ্যানের ব্যবহার ও পরিসংখ্যান জগতে চাকরির ক্যারিয়ার গঠন এখন সর্বজনবিদিত। অন্যদেশগুলোর মত আমাদের দেশেও পরিসংখ্যান বিষয়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান ও ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। ছাএ-ছাত্রীদেরকে গভীর আগ্রহের সঙ্গে পরিসংখ্যান পড়তে ও শিখতে দেখা যায়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রয়োজন অনুযায়ী পরিসংখ্যান পড়ানো হয়। বিশেষ করে তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানের উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। বিভিন্ন দেশে পরিসংখ্যান ব্যুরো মাধ্যমে দেশের প্রয়োজনীয় সব উপাও সংগৃহীত ও প্রকাশিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী একে খন্দকার বলেন, ‘কোন কাজে সফলতা অর্জনের জন্য সঠিক পরিসংখ্যানের ব্যবহার অপরিহার্য। সরকারি নীতির স্বার্থকতাও নির্ভর করে পরিসংখ্যানের ওপর। বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
নজিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে পরিসংখ্যান ব্যুরো অনেক নতুন নতুন জরিপ পরিচালনা করছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, চারটি সেবা জরিপ, বস্তি শুমারি, অর্থনেতিক শুমারি, টাইম ইউজ সার্ভে ইত্যাদি।
গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিসংখ্যানের তথ্য অনেক বেশি মানসম্মত ও সঠিক। আমরা চেষ্টা করছি আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানোর। এজন্য সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/জেজে/এমসি/নূরু/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩)