হরতাল নয়, সমঝোতার পথে আসুন
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দলকে হরতালের রাজনীতি পরিহার করে শান্তির পথে আসারও আহ্বান জানান তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা আশা করেছি, বিরোধী দলীয় নেত্রী শান্তি ও গণতন্ত্রের পথে আসবেন। কিন্তু তিনি নির্যাতনের পথ বেছে নিলেন। আমাদের গণতন্ত্রের উপর আস্থা আছে বলেই আপনারা সমাবেশের অনুমতি পেয়েছেন। অথচ সমাবেশ করতে গিয়ে শর্তভঙ্গ করেছেন। ফেরার সময় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছেন, রাস্তায় ভাংচুর করেছেন। পুলিশের উপর হামলা করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, আগামী কয়েকদিন সময় আছে, সংঘাতের পথ পরিহার করে নির্বাচনের পথে আসুন। নির্বাচন এ দেশে হবেই। জনগণের উপর আস্থা রেখে নির্বাচনে আসুন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বিরোধী দলীয় নেতা দায়িত্বশীল বক্তব্য দিবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তার বক্তব্যে জাতি আশাহত হয়েছে। তার বক্তব্যে স্বাধীনতা বিরোধীদের স্বর প্রতিধ্বনিত হয়েছে। তার বক্তব্য যুক্তিহীন ও অসার।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, তিনি বারবার তারিখ নির্ধারণ করছেন, আমরা কবে থেকে অবৈধ হব। গতকাল একটা তারিখ বলেছেন। আজ আবার দুদিন বাড়িয়েছেন। আমরা (সরকার) অবৈধ নই। আপনাদের রাজনীতি অবৈধ। আপনারা স্বাধীনতা বিরোধীদের সাঙ্গে নিয়ে সমাবেশ করেছেন।
বিরোধী দলের চেয়ারপার্সনকে সংবিধান পড়ার পরামর্শ দিয়ে নাসিম বলেন, আপনি কথায় কথায় আমাদের অবৈধ বলেন, আপনি কি সংবিধান পড়েছেন? সংবিধান বুঝেন? জনগণের ম্যান্ডেট অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের সরকার ক্ষমতায় থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেগম জিয়া সময় দেয়ার কে? জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। সংবিধান আমাদের সময় দিয়েছে।
বিরোধী দল নির্বাচনে আসবে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, বিরোধী দল পল্টন ময়দান ছেড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে। তারা শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের শক্তিকে বিশ্বাস করি। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আবার ক্ষমতায় আসতে চাই। মিথ্যাচার করে আর জনগণের ক্ষতি করবেন না। আপনার আমলের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। আপনার ভুলের কথা স্বীকার ও ক্ষমা না চেয়ে আমাদের আক্রমণ করে কথা বলেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব-উল আলম হানিফ, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিমানমন্ত্রী কর্ণেল (অব) ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, স্বস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, দপ্তর সম্পাদক ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সদস্য এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দি, মির্জা আজম প্রমুখ।
(দিরিপোর্ট২৪/আমান/এমডি/ অক্টোবর ২৫, ২০১৩)