দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে সসম্মানে ক্ষমতায় আসা বা সরে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর ল রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এলার্ট আয়োজিত ‘বিজয় দিবস, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি : চাই গণতন্ত্র, শান্তি ও সমৃদ্ধি’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুধবার এ আহ্বান জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনকে সরকারের আজ্ঞাবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের ব্যর্থতার কারণে সারা দেশে আগুন জ্বলছে।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্ করে মাহবুব বলেন, ‘আপনার পুলিশ বাহিনী সারাদেশে গ্রেফতার বাণিজ্য শুরু করেছে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় সকাল সাড়ে ১০টায় এলার্টের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- লেবার পার্টির চেয়ারম্যন মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির সহ-স্বেচ্ছাসেক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, নির্বাহী কমিটি সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর ও মেজর মোহাম্মদ (অব.) হানিফ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাহানা চৌধুরী প্রমুখ।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘টিভিতে আমরা যা দেখি তা প্রকৃত অবস্থার ১০ ভাগের একভাগ। গণমাধ্যমে সত্যি কথা বললে মাহামুদুর রহমানের মতো অবস্থা হবে।’

মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান শেখ হাসিনার গঠনতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। সংঘাতের জন্য রাষ্ট্রপতিকেও দায়ী থাকতে হবে।’

এবিএম মোশারফ হোসেন বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নের নামে ঘরের মধ্যে ঢুকে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। যে সংবিধানের কথা বলা হচ্ছে সেই সংবিধানের প্রতি দেশের মানুষের ম্যান্ডেড নেই।’

ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল বলেন, ‘বর্ণচোরা দায়িতজ্ঞানহীনরা দায়িত্ব পাওয়ায় আজ ঢাকা শহর ফাঁকা। আজ জিয়া পরিবারকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। জিয়া পরিবার বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে।’

শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ‘আজকের যে তথ্যমন্ত্রী তিনি বহু মানুষ খুন করেছেন। গণবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন তিনি। দেশে যে হত্যাকাণ্ড চলছে তার দায় চিপ ইলেকশন কমিশনার এড়াতে পারবেন না। সময় আসলে তাকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হবে।’

মেজর হানিফ বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যার জন্য শেখ হাসিনাকেও তার বাবার মতো পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেশে জরুরি ও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। সরকার স্বাধীনতার চেতনা ও যুদ্ধাপরাধ এ দুই মন্ত্রকে সর্বরোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহার করছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এম/এনডিএস/নূরু/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩)