‘নির্যাতন যত বৃদ্ধি আন্দোলন তত তীব্র’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘নির্যাতনের মাত্রা যত বৃদ্ধি হবে আন্দোলন তত তীব্র হবে’ বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
একই সঙ্গে তিনি বিরোধী দলের ওপর সরকারের দমন-পীড়নকে আওয়ামী লীগের জন্য একদিন ‘কাল’ হবে বলেও মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বেগম জিয়া সব সময় আলোচনার মাধ্যমে একটা সমঝোতা চেয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর একগুয়েমির কারণে সমঝোতা সম্ভব হয়নি।’
গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১৮ দলের ডাকা টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার সারাদেশের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিরা বিজয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে না যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর একটি সমন্বিত প্রতিষ্ঠান। সরকারের অনৈতিক আচরণ এবং নির্বাচনের নামে প্রহসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তারা এটা করেছে। বিজয় দিবসের মতো দিনে তাদের না আসা কতটুকু কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত সেই বিষয়ে কিছু বলছি না। তবে এটা দেশের জন্য বড় লজ্জাজনক ঘটনা। সরকারের আচরণের কারণে এমন ঘটনা ঘটছে।’
ওই ঘটনায় আমরা খুশি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এতে খুশি বা বিরাগ হওয়ার কিছু নেই।’
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক মামলারই বিচার হয় না। এখন এই আলোচিত মামলার বিচার হয়েছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, সাগর-রুনী নিহত হয়েছেন। সেই মামলার কেন বিচার হচ্ছে না?’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের আগে সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে আমরা কী দেখছি? প্রার্থীদের প্রচারণা নেই, উৎসব নেই, চায়ের দোকানে ভিড় নেই। যারা পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ও জয়ী হয়েছে, তাদের মুখেও হাসি নেই। তারা মানুষের কাছে যেতে পারছে না।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বলেছে তারা কোন পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করার কোন উদ্যোগ নেই। ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ, বিদেশি বন্ধুদের উদ্যোগ সবকিছু বিফলে যাচ্ছে। বিদেশিরা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তামাশার নির্বাচনে অবশিষ্ট প্রার্থীরাও জানে তারা কীভাবে জিতবে। তাই তারা কোন প্রচারণা চালাচ্ছে না।’
তিনি দাবি করেন, ‘আওয়ামী নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। জামায়াত-শিবির নির্মূলের নামে যৌথবাহিনীকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। সরকার ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখাচ্ছে, কিন্তু ক্ষমতা কখনও চিরস্থায়ী নয়।’
(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এমএআর/নূরু/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩)