নিরাপত্তার অজুহাতে আসেনি জাতীয় দল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : খাঁটি স্বর্ণের তৈরি বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি কাছ থেকে দেখা; সঙ্গে ছবি তোলা; এ যেন দারুণ এক সুযোগ। এ সুযোগ মিস করতে চাইবেন না কোনো ফুটবলপ্রেমী। অথচ খোদ জাতীয় দলের ফুটবলাররাই বুধবার পর্যন্ত হেলায় সুযোগ হারিয়েছেন। নিরাপত্তার অজুহাতে ফুটবলারদের ছাড়তে চাচ্ছে না ক্লাবগুলো। তবে অবরোধকে কোনো বাধা মনে না করে হোটেল র্যাডিসনে অনেকের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের খেলোয়াড়রা।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় দলের ফুটবলারদের বৃহস্পতিবার আনার তোড়জোর শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি জাতীয় দলের ফুটবলারদের একসঙ্গে আনার। কিছু ক্লাব নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারপরও আশা করছি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় দলের ফুটবলারদের আনতে পারবো।’
বুধবার ট্রফির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছেন মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ জয়ী নীল-হলুদ শিবির। সবার মুখেই ছিল তৃপ্তির হাসি। ট্রফি ছুঁয়ে দেখে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন যেন বাড়িয়ে দিলÑএমনই মন্তব্য করেছেন শেখ জামাল ও জাতীয় দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘এটা একটা রোমাঞ্চকর মুহূর্ত; অনুভুতি। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এই ট্রফি সব ফুটবলারের কাছেই স্বপ্নের মতো। ছুঁয়ে দেখার পর মনে হয়েছে যদি বিশ্বকাপে খেলতে পারতাম।’
মামুনুলের মতোই প্রথমবার বিশ্বকাপ ট্রফি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে এবারের প্রথম আসরের সেরা ফুটবলার সনি নর্দের। তিনি বলেছেন; ‘এটা স্বপ্নের মতো। বিশ্বকাপের ট্রফি ছোঁয়ার অনুভুতিই আলাদা। খুব ভালো লাগছে।’উইঙ্গার মোবারকের কাছে মনে হয়েছে স্বপ্ন ছুঁয়েছেন; বলেছেন, ‘দারুণ এক অনুভূতি। আমার মনে হচ্ছে স্বপ্ন ছুঁয়েছি। এটা আমার খেলার গতি আরও বাড়িয়ে দেবে। দেশের সব ফুটবলারের একবার হলেও এ ট্রফিটি কাছ থেকে দেখা উচিত।’
দলের সঙ্গে র্যাডিসন হোটেলে এসেছিলেন শেখ জামালের নাইজেরিয়ান কোচ জোসেফ আফুসিও। পুরো দল নিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এ নিয়ে ৪ বার বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি দেখার সুযোগ পেয়েছেন আফুসি। তিনি বলেছেন, ‘এ নিয়ে ৪ বার ট্রফি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হলো আমার। এর আগে ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে, ২০০২ সালে কোরিয়ায় এবং ২০০৬ সালে সুইজারল্যান্ডে ট্রফি দেখেছিলাম। দেশের ফুটবলকে উজ্জ্বীবিত করবে এমন আয়োজন। ফুটবলকে করবে আরো গতিশীল। ফিফা বাংলাদেশে এ ট্রফি আনার সুযোগ করে দিয়েছে, এ জন্য ফিফাকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
কোকাকোলার টিকিট বিজয়ী ভোক্তা, সাবেক ফুটবলার, বর্তমান ফুটবলার ও ফুটবলপ্রেমীদের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল র্যাডিসন হোটেলের ব্লু ওয়াটার গার্ডেন। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী চলবে বিশ্বকাপ ট্রফির এ প্রদর্শনী।
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩