দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘আজ জাতি অভিশাপমুক্ত হলো। তাদের ভোট দিতে হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ রাজাকারের অবরোধ কেন মানবে?’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ দলের বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে নিন্দা প্রস্তাব আনায় পাকিস্তানের কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘পাকিস্তান নিন্দা প্রস্তাব দেওয়ার কে? তারা তো অপরাধী। তাদের এমন প্রস্তাবের নিন্দা জানাই।’

বিরোধী দলের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বহু ছাড় দিয়েছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেব। আপনারা মানুষ পুড়িয়ে মারবেন, আমরা বসে বসে দেখব এটা আশা করার কোন কারণ নেই।’

বৈঠকে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান মোতাবেকই নির্বাচন চলবে। শান্তি-স্বস্তি ফিরে আসুক এটাই চাই। জামায়াত নির্বাচনে আসছে না বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসছে না। উচ্চ আদালতের রায়ে জামায়াত নির্বাচন করতে পারবে না।’

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন একটি দেশ। কিন্তু এখানে পাকিস্তানিদের দোসর খালেদা, গোলাম আযম ও নিজামীরা রয়েছেন। তাদের জন্যই পাকিস্তানের মায়াকান্না। এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। বিএনপি নেত্রীর (খালেদা জিয়া) মুখোশটা উন্মোচন হয়ে গেছে। তার চেহারা পরিষ্কার হয়ে গেছে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ নাসিম, নূহ-উল-আলম লেলিন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাসদের হাসানুল হক ইনু, মাঈনুদ্দিন খান বাদল, শরীফ নূরুল আম্বিয়া, শিরিন আক্তার, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, আনিসুর রহমান মল্লিক, ফজলে হোসেন বাদশা, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিম, ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার, গণআজাদী লীগের হাজী আবদুস সামাদ, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ডা. অসীত বরণ রায়, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএন/শাহ/এসবি/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩)