লিবিয়ায় বন্দি নির্যাতনে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : লিবিয়ায় বন্দিদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে ও বলপ্রয়োগ করে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে। লিবিয়ার ত্রিপোলিতে অবস্থিত আবু সালিম কারাগারে বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে এই মিথ্যা তথ্য সংগ্রহ করা হতো। পরে সেসব সূত্র ধরে ব্রিটেনে বসবাসকারী লিবীয় নাগরিক ও বংশোদ্ভূতদের আটক করে হয়রানি করা হতো। খবর আলজাজিরার।
আল জাজিরার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উভয় দেশের মধ্যকার গোয়েন্দা সংস্থার এই বেআইনি তৎপরতার বিষয়টি উঠে আসে।
গাদ্দাফিবিরোধী দল লিবিয়ান ইসলামিক ফাইটিং গ্রুপের (এলআইএফজি) নেতা আবদেল-হাকিম বেলহাজ বলেন, আমি ও দলের আরেক নেতা সামি আল-সাদি লিবীয় গোয়েন্দাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তারা জোর করে আমাদেরকে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী নিরপরাধ লিবীয় নাগরিকদের নাম বলতে বাধ্য করে।
আল-সাদি ও বেলহাজ দুজনই বলেছেন কারাগারে যেসব গোয়েন্দারা নির্যাতন চালিয়ে তথ্য নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ব্রিটিশ গোয়েন্দারাও ছিল।
বেলহাজ বলেন, ব্রিটেনে বাস করা লিবীয়দের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য গাদ্দাফির গোয়েন্দারা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে শুধু স্বাক্ষর নেয়ার জন্য তারা প্রশ্নোত্তর লেখা কাগজ নিয়ে আসত। সে সময় তারা কিছু নাম উল্লেখ করে বলত, ওই ব্যক্তিরা সশস্ত্র তৎপরতার সমর্থক।’
আল জাজিরার অনুসন্ধানী দলের সদস্য ও সাংবাদিক জুলিয়ানা রুহফাস বলেন, ‘ত্রিপোলিতে বিরোধীরা গাদ্দাফির পুরোনো ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবগুলো ভবন তছনছ করে।’ তিনি বলেন, ‘সে সময় বিরোধীরা গোয়েন্দা প্রধান মুসা কোসার দপ্তরে বেশকিছু নথিপত্র খুঁজে পান। আর সেগুলো থেকেই ব্রিটিশ ও লিবীয় গোয়েন্দাদের যৌথ তৎপরতার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়।’
এদিকে ব্রিটিশ সরকার সব ধরনের অসদাচরণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। তারা বলেছে, ব্রিটেন নির্যাতন চালানোর বিরোধী, তাই তারা অন্য কোনো দেশেও এভাবে নির্যাতন চালানোর সমর্থন করে না।
তবে সমালোচকরা বলছেন, গাদ্দাফির কারাগারে তাদের আটকে রাখার পেছনে ব্রিটিশ সরকারের হাত ছিল।
(দ্য রিপোর্ট/আদসি/লতিফ/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩)