মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে এক হাজার মানুষ নিহতের দাবি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে গত দুইদিনের সংঘাতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
লন্ডনভিত্তিক এই মানবাধিকার সংগঠনটি বুধবার জানিয়েছে, ‘দেশটিতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মধ্য আফ্রিকা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ খ্রিস্টিয়ান মুকোসা জানান, বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড, অঙ্গহানি, মসজিদের মতো ধর্মীয় ভবন ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস ও হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুহারা করার মতো অপরাধ দেশটিতে ঘটছে।
এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি দেশটির বেসামরিক মানুষদের রক্ষায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মুকোসা জানান, চলমান সহিংসতা, বিপুল পরিমাণ সম্পদ ধ্বংস, হাজার হাজার আশ্রয়হীন মানুষের কারণে দেশটিতে ক্ষোভ, শত্রুতা ও অবিশ্বাস বাড়ছে।
তিনি আরো জানান, আন্দোলনকারীরা নিরস্ত্র হওয়ার আগ পর্যন্ত এই চক্রাকার সহিংসতা বন্ধের কোনো সম্ভাবনাই নেই। দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন।
তিনি দেশটির আবাসিক এলাকাগুলোকে নিরাপদ রাখার ও সাধারণ মানুষদের তাদের বাড়িঘরে ফিরে গিয়ে স্বাভাবিক জীবন শুরু করার মতো পরিস্থিতি তৈরির আহ্বান জানান।
দেশটিতে চলতি বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট বোজিজেকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিচেল জোতোদিয়া। তিনি নিজেকে খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রথম মুসলিম নেতা বলে ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই দেশটিতে অস্থিরতা শুরু হয়।
মুসলিম সেলেকা বিদ্রোহীদের জোট খ্রিস্টান স্বৈরতন্ত্রের অভিযোগ এনে বোজিজেকে ক্ষমতাচ্যুত করে জোতোদিয়াকে ক্ষমতায় আনার ব্যাপারে সহায়তা করে।
এদিকে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও ‘অ্যান্টি-বালাকা’ নামে প্রতিরক্ষামূলক দল গঠন করে। দলটির অধিকাংশই বোজিজের অনুগত।
বোজিজের অনুগত খ্রিস্টান বিদ্রোহীরা দেশটির উত্তরাঞ্চলে অব্যাহত হামলা চালাতে থাকে। ফলে তাদের সঙ্গে নতুন সরকারের সমর্থক মুসলিম সশস্ত্র যোদ্ধাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
অন্যদিকে সেলেকা দলের সদস্যরাও আনুষ্ঠানিকভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। তাদের অনেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। (সূত্র: সিএনএন)
(দ্য রিপোর্ট/ কেএন/ এমডি/লতিফ/ ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩)