দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ‘দেশে যে অবস্থা বিরাজ করছে, তা ভয়াবহ। একটি অনিশ্চিত পথে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। রক্তপাত অনিবার্য। দেশ গৃহযুদ্ধের প্রান্তসীমায় পৌঁছতে পারে। এটি এমন এক জায়গায় থামবে, যা কারো কাম্য নয়।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ এ কথা বলেন।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে তার দলের বিশেষ কাউন্সিল হবে, সেখানে সার্বিক বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান কাজী জাফর।

তিনি বলেন, ‘১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর চেয়ে বড় তামাশা আর নেই। এ এক অদ্ভূত নির্বাচন। ভবিষ্যতে এটি গিনেস বুকে স্থান পাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বক্তব্যে অটল। সব দল অংশ না নিলে আমরা নির্বাচনে যাব না। এরশাদ যখন ইউটার্ন নিলেন, জাতির কাছে দেয়া তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। তথাকথিত সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডিয়ামের কোনো সভা ডাকেননি। আমাদের কিছু জানাননি। তাই দলের গঠনতন্ত্রের ৩৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমরা তাকে অপসারণ করেছি।’

জাফর বলেন, ‘এ নির্বাচন হাসির বস্তু হয়েছে। গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে নষ্ট করেছে। শুধুমাত্র একটি দেশ ছাড়া সারা বিশ্ব এক দিকে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিবাদ করছে। গণচীনও বসে নেই। তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখতে চায় বলে বিবৃতিও দিয়েছে।’

গত সপ্তাহে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে দাবি করে জাফর বলেন, ‘আমি তার সঙ্গে সাক্ষাতে উপলব্ধি করলাম গণচীন আমাদের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন। যে গণচীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কিছু বলত না, তারা এখন ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ।’

কাজী জাফর বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ সমর্থন করি না। পাকিস্তান তাদের সীমারেখা লংঘন করেছে। এটি উচিত হয়নি।’

শুক্রবার দলের বিশেষ কাউন্সিলে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তার দল যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘চলমান আন্দোলনে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। কালকের কাউন্সিলের মাধ্যমে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব গোলাম মসিহ, প্রেসিডিয়াম সদস্য টিআইএম ফজলে রাব্বি এমপি, এইচএম রেজা এমপি, এসএমএম আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিম মাস্টার, মহিলা নেত্রী মুনিরা বেগম প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমসি/এমডি/লতিফ/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩)