গণজাগরণ কর্মীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আটক ৬
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গুলশানে পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। এ সময় ছয়জনকে আটক করা হয়। এছাড়া পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য তারানা হালিম।
দুপুর ৩টা ৫০ মিনেটে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার কর্মীদের একত্রিত করে আবারও মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় ইমরানসহ আহত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বীরপ্রতীক। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ প্রখ্যাত লেখক হুমায়ুন আজাদের ছেলে অনন্য আজাদ, জাবির শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী নিপা, শিপ্রা ঘোষ, কর্নেল তাহেরের ভাতিজি শায়লা আহমেদ লোপা ও নয়ন উর রহমানকে আটক করে।
এছাড়া, পুলিশের লাঠিচার্জে মানবাধিকার নেত্রী খুশী কবিরসহ আহত হন বেশ কয়েকজন।
এর আগে, দুপুর সাড়ে তিনটায় পুলিশের কয়েকজন কনস্টেবলের হাতে লাঞ্ছিত হন তারানা হালিম। পুলিশ সদস্যরা এ সময় তাকে ‘তুই-তুকারি’ করে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
তারানা হালিম এ সময় নিজের পরিচয় দিয়ে তিনি ডিপ্লোমেটিক জোনের মধ্যে নন- জানালেও পুলিশ সদস্যরা তাকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বলে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের যুগ্ম কমিশনার শাহবুদ্দিন খান দ্য রিপোর্টকে বলেন, এটি ডিপ্লোমেটিক জোন হওয়ায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কোনো ধরনের জনসমাগম করতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি আরো জানান, বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা তাদের সরে যেতে বলেছি। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী থাকবে না।
শাহবুদ্দিন খান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
তারানা হালিমকে লাঞ্ছিতের বিষয়ে তিনি বলেন, যদি এমন ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/এ/এইচআর/এমএআর/লতিফ/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩)