মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা : অবরোধে সচল ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুট।  টানা তিন দিনের অবরোধের শেষ দু’দিনে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করেছে বেশ কিছুসংখ্যক যাত্রী। তবে দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে এ রুটে যাত্রী চলাচল অনেকটা সচল রয়েছে বলে মাওয়া ঘাট এলাকার পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবি ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টানা তিন দিনের অবরোধের শেষ দু’দিনেও এ নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোটের যাত্রীদের চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো। গত দু’দিন ধরেই এ রুটে চলাচল করেছে প্রায় সব ধরনের পরিবহনগুলো।

এসময় বেলা ১১টা থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে পদ্মায় যাত্রীবাহী ৮/১০টি লঞ্চ ও ১৫টির মতো স্পিডবোট চলতে দেখা যায়।পদ্মায় চলাচলরত এসব লঞ্চের প্রতিটিতে শতাধিক যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। এদিকে ঢাকা-মাওয়া-খুলনা মহাসড়কে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু গণপরিবহন, সিএনজি, অটোরিকশা ও দক্ষিণবঙ্গের মাইক্রোতে চলাচল করছেন পদ্মা পারাপারের এসব যাত্রীরা। ঢাকা-মাওয়া সড়কে ইলিশ, আনন্দ, প্রচেষ্টাসহ লোকাল বেশকিছু পরিবহন চলাচল করে দিনব্যাপী। তবে পর্যাপ্ত যানবাহনের অভাবে নৌরুটে সবগুলো ফেরি সচল না থাকলেও মাত্র ৮ ঘণ্টায় মাওয়া প্রান্তে ১৪০টি যানবাহন পারাপার করা হয়। এ সময় নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে চলাচল করে ৬/৭টি ফেরি।

অবরোধের মধ্যে গোপালগঞ্জ থেকে আসা মাওয়াগামী লঞ্চযাত্রী পঞ্চাশোর্ধ ওমর আলী মোল্লা জানান, ফোম ফ্যাক্টরির কাজে ঢাকার লালবাগ যেতে হচ্ছে। অবরোধে যাওয়া ঠেইক্যা থাকে নাকি?এর আগেও গিয়েছি। কোনো সমস্যায় পড়ি নাই । ভাগ্য খারাপ থাকলে সমস্যায় পড়ি। আর ভাগ্য খারাপ না থাকলে সমস্যায় পড়ি না ।

লঞ্চযাত্রী খুলনা থেকে ঢাকাগামী মাছ ব্যবসায়ী নুর ইসলাম, শরীয়তপুরগামী ছাত্র সুমন, মাদারীপুরগামী গার্মেন্টসকর্মী সাব্বির জানান, অবরোধে মহাসড়কে বাস খুব কম চলাচল করলেও এখন আর সমস্যা হয় না। তবে এর মধ্যেই বিকল্পভাবে চলাচল করতে হয় ।

মাদারীপুর থেকে আসা মাওয়াগামী লঞ্চযাত্রী অনিকা বেগম জানান, দুইদিন পরপর অবরোধ হলে মানুষ চলাচল করবে কীভাবে? তাই পদ্মা পারাপারের যাত্রীরা অবরোধের মধ্যেই চলাচল করছে । ১৮ বছর ধরে এ রুটের লঞ্চপরিবহনে দই বিক্রেতা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী এলাকার রব শিকদার জানান, মঙ্গলবারের অবরোধের চেয়ে গত দু’দিনই ডাবল যাত্রী চলাচল করছে। অবরোধে এখন আর লোকজনের যাওয়া ঠেইক্যা থাকে না।

(দ্য রিপোর্ট/জিএমএম/এপি/নূরুল/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩)