দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, ‘বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতায় বা ক্ষমতার পালাবদলে যারা থাকবেন বা আসবেন তাদের অবস্থান হবে জনস্বার্থবিরোধী। তাই আন্দোলন অব্যাহত রেখে দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন ধ্বংস করে এমন কোন প্রকল্প করতে দেওয়া হবে না।’

পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘ভারতের উন্মুক্ত খনি ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতা এবং ফুলবাড়ী ও রামপাল আন্দোলন’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জাতীয় কমিটির সাত দফা বাস্তবায়ন করে দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানসহ জাতীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

সভায় ভারতের উন্মুক্ত খনি ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ভারতের ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশের উন্মুক্ত খনি ও কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতা থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে ওই অঞ্চলের পাথুরে মাটি, কম পানি ও কম জনবসতি সত্ত্বেও ওইসব অঞ্চলের মানুষ ও পরিবেশ যেভাবে পানিশূন্যতা, কাজের অভাব, শিক্ষা-স্বাস্থ্য বিপর্যয় এবং এসব কারণে সেখানে অকাল মৃত্যু, জন্মগত পঙ্গুত্ব বাড়ছে তাতে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রকল্প কল্পনা করা যায় না।

তিনি বলেন, সরকার যেই হোক, আমরা কোন অজুহাত বা সুযোগে সুন্দরবন ধ্বংস করা, বঙ্গোপসাগর দখল করা কিংবা উত্তরাঞ্চল ধ্বংস করে দেশি-বিদেশি লুটেরাগোষ্ঠীর কোন প্রকল্প করতে দিতে পারি না। দেশপ্রেমিক কোন মানুষই এ ধরনের ধ্বংসকারী প্রকল্প বরদাস্ত করতে পারে না।’

জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স, নুর মোহাম্মদ, বজলুর রশীদ ফিরোজ, আব্দুস সাত্তার, নাসির উদ্দিন নসু, জাহিদুল হক মিলু, সুবল সরকার, শামছুল আলম, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, নাসরিন সিরাজ এ্যানি প্রমুখ।

সভায় জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

(দ্য রিপোর্ট/ সাআ/এমএআর/নূরুল/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩)