ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত দেশ
মৎসজীবী উপজাতি এবং হতদরিদ্র উন্নয়ন সোসাইটি নামের জেলেদের একটি সংগঠন শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায়।
ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ডাকাতের হাত থেকে জেলে সমাজকে বাঁচিয়ে রাখার দাবি করে সংগঠনটি।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. আবু বাক্কর সিদ্দিক বলেন, বিগত কয়েক বছর দেশের বাইরে ইলিশ মাছ রফতানি করে বছরে গড়ে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। কিন্তু গত দেড় বছর ইলিশ রফতানি বন্ধ থাকায় এ আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের মানুষ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫ লাখ জেলে প্রত্যক্ষভাবে ইলিশ আহরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পরোক্ষভাবে এ সংখ্যা ২৫ লাখেরও বেশি। ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে অনেক জেলে তাদের পেশা ছেড়ে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন জেলেদের পেশা টিকিয়ে রাখতে হলে ইলিশ রফতানি বৈধ করে দিতে হবে।
মো. আবু বাক্কর সিদ্দিক আরো বলেন, জীবন বাজি রেখে জেলেরা নদী ও সাগরে মাছ আহরণ করে। জেলেদের মুক্তভাবে মাছ আহরণের পথে ডাকাতরা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় ৭০টি ইলিশ ধরার ট্রলার ডাকাতদের কবলে পড়েছে।
লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় জেলেরা প্রতিদিন ডাকাতদের কবলে পড়ে জীবন ও সর্বস্ব হারিয়ে ফেলছে। এ সংকটজনক অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে নদী ও সাগরে নিরাপত্তা সংস্থার কঠোর নজরদারি ও তৎপরতা বাড়াতে হবে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জেলেদের উন্নয়নে জাতীয় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন পরিষদ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
এ সময় জাতীয় মৎসজীবী সমিতির সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিকদার, সাতক্ষীরা জেলা সোসাইটির চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।
(দিরিপোর্ট২৪ ডটকম/শুভ/এএস/এমডি/ অক্টোবর ০৫, ২০১৩)