দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদর্শনীর সময় ছিল বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত। কিন্তু ১২টা থেকেই সব বন্ধ। দর্শনার্থীরা হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। পাননি ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ। অথচ তারাই ছিলেন আসল বিজয়ী, সঙ্গে ছিল কোকাকোলার টিকিট। ট্রফি ট্যুরের আয়োজকদের হিসেব অনুযায়ী পূর্বনির্ধারিত ১৫ হাজার দর্শকের কোটা শেষ হওয়ায় আগে-ভাগেই সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

সব সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত বিপুল ফুটবলপ্রেমী তখনও টিকিট হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। তা হলে এরা কারা- এই যখন প্রশ্ন চারদিকে, তখন দায় চাপানো হয়েছে মিডিয়া ও বাফুফে কর্মকর্তাদের ওপর। এরাই নাকি একটি সৌজন্য কার্ড দিয়ে ৮ থেকে ১০টি ছবি তুলেছেন। ওই সংখ্যাতাত্ত্বিক জটিলতা-সমীকরণের বলি হয়েছেন টিকিট বিজয়ী অনেক ভোক্তাই। যদিও অভিযোগের সর্বাগ্রে রাখা হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীকে!

শেষ দিনে নিরপাত্তাকর্মীদের বড্ড বাড়াবাড়ি পরিলক্ষিত হয়েছে। ঘটনায় অনেকেই অতিষ্ঠ হয়েছেন। দর্শনার্থী তো বটেই ওই বাড়াবাড়ি থেকে বাদ পড়েননি মিডিয়াকর্মী, জাতীয় দলের ফুটবলারও। পরে ‘গরু মেরে জুতা দানের’ মতো বাজে ব্যবহারের জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের ‘বড়’ কর্তাদের পরিবার-পরিজন তো বটেই, আত্মীয়-স্বজনরাও ভিভিআইপি মর্যাদায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। অথচ প্রকারান্তরে কোটা পূরণের দায় চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে অন্যদের কাঁধে।

বাংলাদেশে এবারই প্রথমবারের মতো এসেছিল বিশ্বকাপ ফুটবলের আসল ট্রফি। বুধবার ও বৃহস্পতিবার ২ দিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রদর্শিত হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে হোটেল র‌্যাডিসনেই রাখা হয়েছিল ট্রফি। শুক্রবার সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে ভুটানের উদ্দেশে রওনা হবে এ ট্রফি। গত বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এএস/সিজি/নূরুল/ডিসেম্বর ১৯, ০১৩)