দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের জন্য সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামকে প্রস্তুত করা হয়েছে। কতটা প্রস্তুত; তা জানতেই ২২ ডিসেম্বর ম্যাচের আয়োজন রাখা হয়েছে সিলেটে। ৪দলের টোয়েন্টি২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ হবে সিলেটে। বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, ‘৪ দলের একটি টোয়েন্টি২০ টুর্নামেন্টের আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাকা লিগের ৪ দল নিয়ে হবে টুর্নামেন্ট। হলুদ, নীল, সবুজ ও লাল-এ ৪ দল অংশ নেবে। এরই মধ্যে ৪ দলে কোন ক্রিকেটাররা অংশ নেবে তা নিশ্চিত হয়ে গেছে। এখন বাকি রয়েছে ঢাকা লিগের কোন ৪টি দল অংশ নেবে।’

টুর্নামেন্টের নাম রাখা হয়েছে বিজয় দিবস টোয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতা। ২২ ডিসেম্বর সিলেটে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আসর। এরপর ২৩, ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর আরও ৩টি ম্যাচ হবে একই ভেন্যুতে। টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বেশি ম্যাচ খেলানো যাবে না। এ শর্তে ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর শেষ দুটি রাউন্ড হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ৩১ ডিসেম্বর ফাইনালও এই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে।

প্রতিদিন ২টি করে ম্যাচ হবে। টুর্নামেন্টে সম্ভাব্য বাজেট ধরা হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা। ২টি শ্রেণীতে ক্রিকেটারদের ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ শ্রেণীতে থাকবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তাদের টুর্নামেন্ট খেলে আয় হতে পারে আড়াই লাখ টাকা।

‘বি’ শ্রেণীতে রয়েছেন জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররা। তাদের আয় হবে দেড় লাখ টাকা। ৩টি দল মোটামোটি চুড়ান্তই। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব, আবাহনী ও মোহামেডান খেলবে বলে সম্মতি দিয়েছে বিসিবি সূত্রে জানা গেছে। আরেকটি দল নিয়েই শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ঝামেলা চলছে। শেখ জামাল অথবা ব্রাদার্স ইউনিয়নের মধ্যে যে কোন একটি দল খেলতে পারে। যদি তা না হয় তাহলে বিসিবিই একটি দলের দায়িত্ব নেবে। ঢাকা লিগের দলগুলো অংশ নিলেও তাদের নীল, হলুদ, সবুজ অথবা লাল দলের ব্যানারেই খেলতে হবে। এ ৪ দল লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। শুধু আরেকটি দল নিয়ে নয়, সরাসরি কোন টেলিভিশন চ্যানেল খেলাগুলো সম্প্রচার করবে তাও নির্ধারণ হয়নি। শুক্রবার দুপুরে এ টুর্নামেন্ট নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এএস/সিজি/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩)