সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : ভারত থেকে অবৈধপথে আসা দশ ট্রাক ভর্তি ১৫০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলসীমান্ত থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে এ পেঁয়াজ আটক করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তের কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, বাংলাদেশে ২৬ নভেম্বর থেকে ১৮ দলের ডাকা টানা অবরোধ ও জামায়াতের হরতাল কর্মসূচি থাকার ফলে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে আমদানি-রফতানি হয়। ফলে দেশে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এ অবস্থায় বৈচানা গ্রামের মাজাহারুল ইসলামের ছেলে পাচারকারি সিন্ডিকেটের প্রধান বাবু, ভাড়খালি গ্রামের রইছউদ্দিন মুহুরীর ছেলে টুটুল, ভোমরা গ্রামের সরবত আলীর ছেলে মাসুম আলী ও টেকো আনারুলের ছেলে ফিরোজ হোসেনের নেতৃত্বে ভারত থেকে অবৈধপথে পেঁয়াজ এনে বুধবার রাতে ভোমরা বন্দরের বিভিন্ন গুদামে মজুদ করে।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ছাড় করা কাগজপত্রের মাধ্যমে মজুদ করা মাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে ১০টি ট্রাকে ১৫০ টন পেঁয়াজ ঢাকায় পাঠানো হচ্ছিল।

তারা আরো জানায়, বাংলাদেশে রফতানির জন্য ভারতের ঘোজাডাঙা বন্দরে মজুদ রাখা ট্রাক থেকে ওই পেঁয়াজ অবৈধপথে আনা হয়। বস্তাপ্রতি পেঁয়াজ আনতে ভারতীয় শ্রমিককে ২০ টাকা, বিএসএফকে ৩০ টাকা, বিজিবিকে ১০০ টাকা ও দেশি শ্রমিককে ৮০ টাকা করে দিতে হয়েছে। শুল্কবিহীন হলেও সরকারিভাবে ডলার ভাঙানোর সময় কম পাওয়া ও সকল খরচ মিলিয়ে টন প্রতি ৮০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানান তারা।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম জানান, আটক পেঁয়াজের অনুকূলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে।

সাতক্ষীরা ৩৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এটিএম আলী আহসান জানান, আমদানি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ১৫০ টন পেঁয়াজ আটক করা হয়েছে। আটক পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাকগুলি বিজিবির ৩৮ ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে রাখা হয়েছে। সেখানে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।

তবে বিজিবি সদস্যদের বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির কথা অস্বীকার করেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরকে/এপি/এসকে/ডিসেম্বর ২০, ২০১৩)