চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের কাছে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির হিস্যা ব্যাংকগুলোকেও বহন করার দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় চেম্বার সভাপতি গভর্নরের নিকট এ দাবি জানান। এ সময় ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিরাজমান অর্থনৈতিক স্থবিরতা উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক স্থবিরতা নিরসনে ৭ ডিসেম্বর চিটাগাং চেম্বার কর্তৃক উত্থাপিত দাবিসমূহের কিছু ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট দাবিসমূহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বর্তমানে ফরেইন রিজার্ভ ১৮ বিলিয়নের ওপর উল্লেখ করে চামড়া, সিরামিক ও প্লাস্টিক সামগ্রী রপ্তানিকারকদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেয়া, সেবার মান বৃদ্ধিতে গ্রাহকদের জন্য কাস্টমার ইন্টারেস্ট প্রোটেকশন সেন্টার (সিআইপিসি) স্থাপন ও সরাসরি অভিযোগ শোনার জন্য হটলাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে চেম্বার সভাপতিকে জানান। গভর্নর যেকোনো পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নির্বিঘ্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং রপ্তানি উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে এক্সপোর্টার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে ১.৫% সুদে এক কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে চেম্বার সভাপতিকে অবহিত করেন।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, অবরোধ, হরতাল ইত্যাদি মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারণে এ দেশের অর্থনীতি বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দোকানদার, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তারা আর্থিক দুরাবস্থার শিকার। এসব প্রতিষ্ঠানে ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো সবসময়ই লাভ করে থাকে। বর্তমান অচলাবস্থা বিবেচনা করে এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আপদকালীন সময়ের সুদ মওকুফ করার জন্য চেম্বার সভাপতি গভর্নরের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান।

চেম্বার সভাপতি চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে নির্বিঘ্ন রাখার ক্ষেত্রে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে চেম্বারের ভূমিকার কথা গভর্নরকে অবহিত করেন। ইতোপূর্বে চেম্বারের দাবির প্রেক্ষিতে এসএমই খাতে প্রদত্ত ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট গ্রহণের বিষয়টি ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিবেচনা করা, অশ্রেণিকৃত ঋণ (স্ট্যান্ডার্ড ও এসএমএ) পুনর্গঠনের মেয়াদকাল যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ, প্রয়োজনে ঋণ ব্লক হিসেবে স্থানান্তর ও সুদের হার নির্ধারণে নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করার জন্য সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রতি পরামর্শ দিয়ে ১৮ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করায় চেম্বার সভাপতি গভর্নরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। প্রসঙ্গত, এ প্রজ্ঞাপন ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচসি/এপি/এসকে/লতিফ/ডিসেম্বর ২০, ২০১৩)