দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জুমার নামাজ শেষে নাশকতা হতে পারে- এমন আশঙ্কায় রাজধানীর বেশিরভাগ মসজিদে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ চিহ্নিত এলাকার কয়েকটি মসজিদের আশপাশে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের।

বায়তুল মোকাররমের প্রধান ফটকে দেখা যায়, মজজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বায়তুল মোকররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটের ফুটপাতের দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ৩-৪টি পিকআপ ভ্যানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মতিঝিল থানার উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আশরাফুজ্জামান পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বায়তুল মোকাররমের কম্পাউন্ডে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘জুমার নামাজের আগে ও পরে নিরাপত্তা জোরদার করতে আমি এখানে এসেছি।’ যে কোনো নাশকতা প্রতিহত করতে পুলিশ প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

এদিকে দৈনিক বাংলার মোড়ে পুলিশের এপিএস কার রাখা হয়েছে। জুমার নামাজ শেষে নাশকতা হতে পারে এ আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। র‌্যাব জাতীয় মসজিদের আশপাশে টহল দিতে শুরু করেছে।

এছাড়া রামপুরা, বাড্ডা, শাহজাদপুর, কুড়িল বিশ্বরোড, মগবাজার, সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড়, মাতুয়াইল, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, কদমতলী, শনিড়আখড়া, ধোলাইপাড়সহ বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা সকাল থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করেছি। এর আগে মগবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় জুমার নামাজ শেষে নাশকতার কথা মাথায় রেখে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’

যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নাশকতা প্রতিরোধে সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এলাকার মসজিদগুলোর আশপাশে আমাদের পুলিশ সদস্যদের সকাল থেকে সার্বক্ষণিক মোতায়েন রাখা হয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/এনইউডি/শাহ/এনডিএস/ডিসেম্বর ২০,২০১৩)