এবার কক্সবাজার তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের আহ্বান
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, এই সর্বনাশা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বছরে আনুমানিক ৩২ লাখ টন ছাই, ৫১ লাখ টন তরল বর্জ্য, প্রায় ১ দশমিক ২০ কোটি পাউন্ড বিষাক্ত পারদ নির্গত হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত এসব বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ধ্বংস করবে সমুদ্রের বিরল প্রজাতির মাছ, জীব-বৈচিত্র, পাহাড়, কৃষি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
রফিকুল ইসলাম আরও জানান, ‘আমরা স্থানীয় অধিবাসীরা জান দেব কিন্তু প্রিয় মাতৃভূমি দেব না’।
সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিবেশ সুরক্ষা এজেন্সির প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, সালফার-ডাই-অক্সাইডের কারণে হৃদরোগ, অ্যাজমা এবং নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইডের কারণে ফুসফুসের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া এসব এসব বিষাক্ত রাসায়নিক শরীরে ক্যান্সারের বিস্তার ঘটায়। দেয়।
আমেরিকান ফুসফুস এসোসিয়েশন’র বরাত দিয়ে বলা হয়, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত দূষণকারী পদার্থের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ১৩ হাজার মানুষ মারা যায়। পারদের কারণে হাজার হাজার শিশুর বুদ্ধিমত্তা নষ্ট হয়। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ পারদ মৎস্য সম্পদকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে। সালফার-ডাই-অক্সাইড থেকে এসিড বৃষ্টি হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে মাতারবাড়ি এবং ধলঘাটা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
প্রস্তাবিত তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সর্বনাশা পরিবেশ বিধ্বংসী উল্লেখ করে বলা হয়, সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জমি অধিগ্রহণের জন্য তিন ধাপে নোটিশ প্রদান করে এবং সে অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে।
(দিরিপোর্ট২৪ডটকম/নিজস্ব প্রতিবেদক/এমএআরেএমডি/অক্টোবর ০৫,২০১৩)