দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল সিরিজ না খেলে বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ায় পেন্ডুলামের মতো দুলছে শ্রীলঙ্কা সফর, এশিয়া কাপ ও টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের আয়োজন। এমন সময় রবিবার শুরু হতে যাওয়া বিজয় দিবস টোয়েন্টি২০ টুর্নামেন্ট থেকে  পিছুটান নিয়েছে ক্লাবগুলো!

যে ক্লাবগুলোর জন্য বিসিবি উদার হয়েছিল। যাদের সুবিধার দিকে তাকিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ সেপ্টেম্বরে শুরু করেছে। ‘প্লেয়ার বাই চয়েজ’ পদ্ধতিতে ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর উদ্যেগ নিয়েছিল বিসিবি। সেই ক্লাবগুলোই অংশ নিতে চায় না!

টোয়েন্টি২০র টুর্নামেন্টের জন্য ৪টি দল গঠন করেছে বিসিবি। ৩টি দল-আবাহনী, মোহামেডান, প্রাইম ব্যাংককে সঙ্গে পেলেও অন্য কোনো ক্লাবই এগিয়ে আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে চতুর্থ দলটি বিসিবি প্রেসিডেন্ট একাদশের নামে করতে হয়েছে বিসিবিকে। অথচ টুর্নামেন্টটি বিশ্ব ক্রিকেট দরবারে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরবে ।

মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের ভাষ্য, ‘আইসিসি’র জন্য বার্তা’ও। টুর্নামেন্ট সফল হলে বিদেশি দলগুলো বাংলাদেশে খেলতে আসতে ভয় পাবে না। পাকিস্তান থেকে এখনই হুঁশিয়ার উচ্চারণ করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। অথচ বিসিবি সঙ্গে পাচ্ছে না ক্লাবগুলোকে।’

ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলনে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, কাজী ইনাম আহমেদ ও লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল বলেছেন, ‘অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু একটি দলও পাওয়া যায়নি। তাই বিসিবি প্রেসিডেন্ট একাদশ নামেই একটি দল খেলবে।’সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘যদি এর মধ্যে কোনো কর্পোরেট দল বা কোন ক্লাব এগিয়ে আসে তাহলে বিসিবি প্রেসিডেন্ট একাদশ দলটি তাদের হস্তান্তর করে দেওয়া হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/সিজি/ডিসেম্বর ২০, ২০১৩)