চলে গেলেন খালেদ খান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা ও নির্দেশক খালেদ খান আর নেই। শুক্রবার রাত ৮টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সিদ্ধান্তে খালেদ খানের লাইফ সাপোর্ট রাত ৮টা ১৮ মিনিটে খুলে নেন চিকিৎসক।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খালেদ খানের মরদেহ রাতে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে থাকবে। শনিবার সকাল ১০টায় শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউএলএবি) আনা হবে। এরপর সকাল ১১টায় সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।
তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। দ্বিতীয় জানাজা হবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তার গ্রামের বাড়িতে। এখানেই শায়িত হবেন খালেদ খান।
অভিনেতা খালেদ খান দীর্ঘদিন ধরে মটো নিউরন সমস্যায় ভুগছিলেন। এ সমস্যার কারণে তাঁর শরীরের মাংসপেশি অকেজো হয়ে যায়। ফলে তিনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে-চলতে পারতেন না। বেশ কয়েক বছর ধরে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতেন। এরপর তিনি আরও অসুস্থ হলে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
খালেদ খান ১৯৫৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি। ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে (ইউএলএবি) তিনি ট্রেজারার হিসেবে চাকরি করেছেন। প্রশাসনিক এই দায়িত্বের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়েছেন মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিষয়ে।
আশির দশকে মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন খালেদ খান। তিনি হুমায়ূন আহমেদের ধারাবাহিক নাটক 'এইসব দিনরাত্রি' ও ইমদাদুল হক মিলনের 'রূপনগর' নাটকে অভিনয় করেন। নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের হয়ে তিনি ৩০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেন। নির্দেশনা দিয়েছেন ১০টিরও বেশি নাটক। অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি নাগরিক নাট্যাঙ্গনের 'রক্তকরবী' নাটকের বিশু পাগল চরিত্রে অভিনয় করেন। নিদের্শনা দিয়েছেন সুবচন নাট্য সংসদের 'রূপবতী'।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/নূরুল/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৩)