নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হালিম আজাদ বলেছেন, ইমরান খানকে বাংলাদেশে আসা নিষিদ্ধ করতে হবে । যে নিজেই ইনসাফ শিখে নাই সে আবার নিজের পার্টির নাম রেখেছে তেহরিক-ই-ইনসাফ।নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসির পরে পাকিস্তানের মন্তব্যে আবারো প্রমাণিত হয়েছে পাকিস্তান একটি বর্বর দেশ, একটি জঙ্গী রাষ্ট্র। নারায়ণগঞ্জে জামায়াত-শিবিরকে শক্তিশালী করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদেরকে লালন-পালন করার নেপথ্যে রয়েছে শামীম ওসমান, নাসিম ওসমান গডফাদার চক্র। তারা মুখে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির কথা বলে আর জামায়াত, হেফাজতকে বিড়িয়ানি খাইয়ে মিটিং করে।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার। আর জেলা প্রশাসক মনোজকান্তি বড়ালের চরিত্র যে কত ভালো তা দেশবাসী এর মধ্যেই জেনে গেছে। এরা নারায়ণগঞ্জকে কলুষিত করছে। তাই আমি এদের অপসারণ দাবি করছি।

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বাবুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, কমিউনিস্ট পার্টির জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ এর জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার আহ্বায়ক হিমাংশু সাহা, জাহিদুল হক দীপু, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানীশংকর রায়, জেলার গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক তরিকুল সুজন প্রমুখ।

সমাবেশে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, একাত্তরের মতোই স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এদেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের উপর হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষমতার যাওয়ার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে কয়লা বানিয়ে, লুটপাট করে বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের এ প্রচেষ্টা সফল হবে না। তিনি আরো বলেন, মানুষ ভোটারবিহীন নির্বাচন চায় না। তিনি দেশবাসীকে ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

(দ্য রিপোর্ট/এআর/এপি/ডিসেম্বর ২০, ২০১৩)