সালভাতরে কোয়াসিমোদো’র কবিতা
অনুবাদ : মিনাজ মুর
সালভাতরে কোয়াসিমোদো ১৯০১ সালে সিসিলিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সালভাতরে ১৯৩৮-১৯৪০ পর্যন্ত Tempo পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ১৯৪১-এ সালভাতরে কোয়াসিমোদো মিলানের Giuseppe Verdi Conservatory-তে ইতালিয় সাহিত্যের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনি মুসলিনীর সময় ফ্যাসিস্টবিরোধী কার্যক্রমের কারণে অন্তরীণ হন। ১৯৫৩ সালে Dylan Thomas পুরস্কার ও The Etna-Taormina Inteational Prize লাভ করেন। ১৯৫৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে Waters and Land (1930), Sunken Oboe (1932)I And Suddenly it’s Evening (1942) উল্লেখযোগ্য। সালভাতরে কোয়াসিমোদো১৯৬৮ সালে মারা যান।
আবার আমি সাগরের গর্জন শুনি
আজো আমি অনেক রাতধরে আবার সাগরের গর্জন শুনি;
আস্তে জেগে ওঠে আবার মিলিয়ে যায় মসৃণ তীরে।
একটি কণ্ঠের প্রতিধ্বনি মনের ভেতর আটকে থাকে
যেন সময় থেকে জেগে ওঠেছে; এ যেন গাঙচিলের একটানা ক্রন্দন;
হয়তো এপ্রিল টাওয়ারের পাখিদের
সমতলে আসার জন্য প্রলোভিত করছে। একদা সেই কণ্ঠ নিয়ে
তুমি আমার কাছে ছিলে;
এবং ইচ্ছে হয় যদি
আমার স্মৃতির প্রতিধ্বনি
কৃষ্ণ সাগরের বয়ে যাওয়া ধ্বনির মতো
তোমার কাছে আসতে পারত!
হঠাৎ সন্ধ্যা হয়ে আসে
সবাই পৃথিবীর বুকে একা
আর সূর্যস্নাত:
এবং হঠাৎ করেই সন্ধ্যা নেমে আসে।
মনে হয় সমাধিগাত্রে লিখা
এখানে, সবার কাছ থেকে দূরে
সূর্য-রশ্মি তোমার কুন্তল ছুঁয়ে যায়, দাহ করে তার মধু
এখন তার নিকুঞ্জ থেকে গ্রীষ্মের শেষ পোকারা
এবং মোহিনী নারীর গভীর বিলাপ
আর লম্বার্ডির মাটিতে তার সতর্ক বাণী
মনে করিয়ে দেয় আমাদের বেঁচে থাকার কথা।
ওগো বায়ু-তাপিত কণ্ঠস্বরেরা, কি চাও তোমরা?
এখনও মাটি থেকে পরিশ্রান্তি জেগে ওঠে।
আমার মরণশীল গন্ধের জন্য
কর্তিত বৃক্ষদের ভেতর
আর্তনাদ করে ওঠে আমার নরক!
গ্রীষ্ম ঘুমিয়ে থাকে কুমারী মধুর ভেতর
আর টিকটিকি থাকে তার দানবীয় শৈশবে।
আমার মরণশীল গন্ধের জন্য
বাতাসের দেবদূত আর জলের কাছে
ঝরে পড়ে বিভা। আর যেখানে কোষের গভীর অন্ধকার
সেখানে থাকে আমার স্বর্গীয় হৃদয়।
মিনাজ মুর : কবি ও অনুবাদক