দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশকে পোলিওমুক্ত করতে শনিবার পালন করা হবে ২১তম জাতীয় টিকা দিবস। এদিন দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো হবে।

টিকা কার‌্যক্রম অবরোধর আওতার বাইরে থাকবে বলে ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শনিবার জাতীয় শিশু হাসপাতালে সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য সচিব এমএম নিয়াজউদ্দিন ২১তম জাতীয় টিকা দিবসের উদ্বোধন করবেন।

সকাল আটটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের সর্বত্র টিকা কেন্দ্র খোলা থাকবে। সারা দেশে এক লাখ ৩০ হাজার কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাদান কার‌্যক্রম চালানো হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

জাতীয় টিকা দিবসে শূন্য মাস থেকে ৫ বছরের নিচে সকল শিশুকে দুই ফোঁটা পোলিও টিকা খাওয়ানো হবে। ওই বয়সী শিশু পূর্বে জাতীয় টিকা দিবসে বা নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে পোলিও টিকা খেয়ে থাকলেও কিংবা পূর্বে কখনো টিকা না খেয়ে থাকলে তাকেও দুই ফোঁটা পোলিও টিকা খাওয়ানো হবে। এমনকি যে সব শিশু ওইদিন জন্মগ্রহণ করবে তারাও বাদ যাবে না।

নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্র ছাড়াও ভ্রমণরত ও ভাসমান শিশুদেরকে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনালসহ বিভিন্ন জনসমাগম স্থলে স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্র থেকে টিকা খাওয়ানো হবে।

২১ ডিসেম্বর জাতীয় টিকা দিবস পালনের পর ২২, ২৩, ২৪, ২৬ ডিসেম্বর বাদ পড়া শিশুদের খুঁজে খুঁজে পোলিও টিকা খাওয়ানো হবে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। পোলিও নির্মূলের এ কর্মসূচিতে সহায়তা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, দি সেন্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনটেশন (সিডিসি) এবং ইউনিসেফ।
বিরোধীদল আহূত অবরোধের বিরূপ প্রভাব টিকাদান কর্মসূচিতেও পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউনিসেফসহ দাতাসংস্থার প্রতিনিধিরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি প্যাসকেল ভিলনোভ ‘বাংলাদেশের শিশূদের বৃহত্তর স্বার্থে’ জাতীয় টিকা দিবসকে সফল করতে ‘সব রাজনৈতিক দলের’ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে ২০০৬ সালের ২২ নভেম্বর দেশে সর্বশেষ পোলিও আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/জেএম/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)