রাজধানীতে গাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ১৮ দলের অবরোধের প্রথমদিন শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল, গাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তায় আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজধানীর নীলক্ষেতের সামনে দুপুর সোয়া ২টার দিকে পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তবে নীলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরাফাত রহমান খান ককটেল বিস্ফোরণের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টা ১০ মিনিটে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ কাউকে আটকও করতে পারেনি।
অন্যদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাতিরঝিল এলাকায় দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুই শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একই সময় রাজধানীর শাহজাদপুর এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে শিবির।
ডেমরায় সকাল পৌনে ৯টায় একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। তবে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সবুজবাগের বৌদ্ধমন্দির এলাকায় সকাল ৮টায় অবরোধের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে শিবির কর্মীরা। মিছিল শেষে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করার চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শিবির মহানগর পূর্ব শাখার সেক্রেটারি রেজাউল হক রিয়াজের নেতৃ্ত্বে শিবির এ মিছিলটি বের করে। পরে তারা রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার আগেই তারা চলে যায়।
রাজধানীর রায়সাহেব বাজারের ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে সকাল পৌনে ১০টায় ১৫-২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে অবরোধকারীরা। এসময় পুলিশ পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই বেশ কয়েকজন লোক ওই স্থানে উপস্থিত হয়ে ককটেলগুলো বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
(দ্য রিপোর্ট/এনইউডি/কেএ/এএস/ এমডি/লতিফ/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)