‘যুদ্ধাপরাধের বিচার ও একাদশ নির্বাচনের আলোচনা চলবে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে সঙ্গে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আলোচনারও চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর পর প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী, বিরোধী দল যদি জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন, হরতাল-অবরোধ ও নাশকতা বন্ধ করে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’
রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনির্য়াস মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
নির্বাচনের বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটা মেনে অগণতান্ত্রিক কর্মসূচি বন্ধ করুন। নির্বাচনের পরে একাদশ সংসদ হবে, নতুন মন্ত্রিসভা হবে। আমরা আশা করি, আলোচনায় বসে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ফর্মুলায় নির্বাচন করতে পারব।’
পাকিস্তানের সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে এই কাদের মোল্লাই সেই কাদের মোল্লা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘এর মাধ্যমে পাকিস্তান একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থাকেই শুধু অপমাণ করেনি, সমগ্র জাতিকে তারা অপমাণ করেছে। সমগ্র জাতি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সমগ্র জাতি আশা করেছিল, বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টে যে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছিল, সে বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী স্পষ্ট অবস্থান নেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য আসেনি। তিনি (খালেদা জিয়া) দুবারের প্রধানমন্ত্রী, তার কাছ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য আশা করি। কিন্তু বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়া এ বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু বলেননি।’
তিনি বলেন, ‘ইমরান খান নিয়াজীকে আমরা এত দিন ক্রিকেটার হিসেবেই জানতাম। তিনি উনার চাচার মতোই কথা বলেছেন। তবে পাকিস্তান পিপলস পার্টি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে বলেছে, এরা পাকিস্তান রক্ষার চেষ্টা করেছিল তাই বাংলাদেশ তাদের বিচার করছে।’
সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী।
(দ্য রিপোট/এইউএ/এনডিএস/রা/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)