লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অপহৃত আট আ.লীগ নেতা মুক্ত
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা : খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেম্রাচাই চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাগরিকা চাকমাসহ অপহৃত আট আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী শনিবার সকালে মুক্তি পেয়েছেন।
শহরের স্বনির্ভর এলাকায় সকাল ১০টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনসংক্রান্ত কাজে গতকাল শুক্রবার খাগড়াছড়ি এলে তাদের মোবাইলে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়। অপহৃতদের উদ্ধারে রাতভর যৌথবাহিনীর অভিযান চলে।
মুক্তির পর লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেম্রাচাই চৌধুরী জানান, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীরা তাদের ডেকে নিয়ে নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য বলেছে। তবে রাতে তাদের কোথায় রাখা হয়েছিল তা মনে নেই। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাগরিকা চাকমা জানান, তাদের সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জাহেদুল আলম জানান, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেম্রাচাই চৌধুরী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাগরিকা চাকমাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা শুক্রবার নির্বাচনী কাজে খাগড়াছড়ি এসে অপহরণের শিকার হন।
অপরদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা শনিবার সকালে এক বিবৃতিতে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অপহৃতদের নিজেদের দলীয় নেতাকর্মী দাবি করে বলেন, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান রেম্রাচাই চৌধুরী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাগরিকা চাকমা ইউপিডিএফের সমর্থনেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারা ইউপিডিএফের সমর্থক ও শুভাকাক্ষ্মী। আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় তাদের করণীয় কী হতে পারে সেজন্য তাদের নিয়ে একান্তে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনা শেষ করে তারা আজই লক্ষ্মীছড়িতে ফিরে যাবেন।
মুক্তি পাওয়া অপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হলেন স্বপন কুমার চাকমা, সাথোয়াই অং মারমা, রতন বিকাশ চাকমা, দয়া চাকমা, ধনা কুমার চাকমা ও লেলিন চাকমা।
(দ্য রিপোর্ট/বিএস/শাহ/এএস/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)