ওবায়দুল চঞ্চল : সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল সাইনে চলছে বিশ্ব যুব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ। ভিসা হলেও টাকার অভাবে টুর্নামেন্টে খেলতে যেতে পারেননি জাতীয় জুনিয়র ও সাব জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন একরামুল হক সিয়াম। অথচ বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গাজী সাইফুল তারেক সেখানে আনন্দভ্রমণে ফুরফুরে সময় কাটাচ্ছেন।

এই আসরে আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম থেকে শুরু করে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার সুযোগ থাকে। এটা প্রতিবছর কাজে লাগাচ্ছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতীয় দাবাড়ুরা। ভারত দাবা ফেডারেশন ২৫ থেকে ৩০জন দাবাড়ু পাঠায় এই টুর্নামেন্টে। অথচ বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ দেয়নি। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা একবারও মনে করেননি বাংলাদেশ থেকে দাবাড়ু পাঠানোর প্রয়োজন রয়েছে; এমন অভিযোগ রয়েছে। আক্ষেপের সূরেই সিয়াম জানিয়েছেন, ‘ভিসা হওয়ার পরও টুর্নামেন্টে যেতে পারিনি, এটা কি কষ্টের, বলে বোঝানো যাবে না। শেষ মুহূর্তে ফেডারেশন থেকে আমাকে বলা হয় নিজের টাকায় যেতে পারলে যাও! আমার জানা মতে এ ধরনের টুর্নামেন্টে আগে ফেডারেশনই টিকিট দিত। এবার দেয়নি কেন, জানি না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘টিকিটের দামও খুব একটা বেশি না। ৪৮ হাজারের মতো। আর টুর্নামেন্টের এন্ট্রি ফি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। বাকিটা তো আয়োজকরাই বহন করে। অথচ ওই টাকার দায়িত্ব নেয়নি ফেডারেশন।’

সিয়ামের মতোই মন ভেঙ্গেছে জাতীয় সাব-জুনিয়র রানারআপ আবদুল্লাহ আল সাইফের। তিনি জানিয়েছেন, ‘ফেডারেশন থেকে আমাদের বলা হয়েছিল ভিসা হলে তারা স্পন্সর ব্যবস্থা করে দেবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তারা অপারগতার কথা জানায়। ভিসা হওয়ার পরও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে না পেরে অনেক খারাপ লাগছে। সব দাবাড়ুরই স্বপ্ন থাকে এ ধরনের টুর্নামেন্টগুলোতে অংশ নেয়ার। আমরা অনেক বড় সুযোগ হাতছাড়া করলাম। অনেক কষ্ট লাগছে।’

২০১১ সালে গ্রিসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব দাবা চ্যামিম্পয়নশিপে সিয়াম ও সাইফ অংশ নিয়েছিলেন। ওই আসরে তাদের টিকিটের খরচ দিয়েছিল ফেডারেশন। এবার কোনো সহযোগিতাই করেনি ফেডারেশন। বরং দাবাড়ু না পাঠিয়ে সাধারণ সম্পাদক গিয়েছেন আরব আমিরাতে। ভাগ্যিস, বাংলাদেশ থেকে দাবাড়ু ফাহাদ রহমান নিজ উদ্যেগে টুর্নামেন্টে খেলছেন। নয়তো সাধারণ সম্পাদক সাইফুল তারিকের আরব আমিরাত সফর পুরোপুরি প্রমোদভ্রমণ হয়ে যেত।

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এএস/লতিফ/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)