দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : নেইমারের জাদুতে উড়ছে বার্সেলোনা। মেসির অভাব বোধই হচ্ছে না ভক্তদের নেইমারের ছোঁয়ায়। ঠিক সেই মুহূর্তেই জানা গেছে কঠিন ঘটনা। নেইমারের চুক্তিবদ্ধ ক্লাবের দুই সান্তোষ-বার্সার দেনা-পাওনার বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত । টানা ৭ মাস নেইমার বার্সার জার্সি গায়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। গোলের পর গোল করেছেন; করাচ্ছেন। ঠিক তখন ট্রান্সফার ফিরে আদালতের সমন নেইমার প্রশ্নে নতুন অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে।

নেইমার সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় এসেছে ৭ মাস। জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী নেইমারকে ৫ কোটি ৭১ লক্ষ ইউরোয় বিক্রি করেছিল সান্তোষ৷ সান্তোষের দাবি এখন পর্যন্ত তারা মাত্র ১ কোটি ৭১ লক্ষ ইউরো পেয়েছে৷ প্রশ্ন উঠছে, বাকি ৪ কোটি ইউরো কোথায় গেল? নেইমারের দলবদলে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রাসেলের বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপের অভিযোগ উঠেছে৷ ক্লাবেরই এক সদস্য খোর্দি কাসেস এই অভিযোগ করে মামলা করেছেন। রাসেল অবশ্য বলছেন, 'এই অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ আমি এটা নিয়ে ভাবছি না৷'

নেইমারের দলবদল নিয়ে বেশ ভালো রকম জট রয়েছে৷ এখনো অনেক তথ্যই জনম্মুখে আনা হয়নি৷ নেইমারকে কত অর্থে বার্সেলোনায় আনা হয়েছে, কত অর্থই বা ব্রাজিলীয় এই তারকার প্রাক্তন ক্লাব পেয়েছে এবং বাকি অর্থ কোথায় গেল, মাদ্রিদের একটি আদালত তার পূর্ণাঙ্গ নথি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বার্সেলোনাকে৷
বার্সেলোনা জানিয়েছে, বাকি অর্থ তারা একটি মধ্যস্থতাকারী সংস্থাকে দিয়েছে৷ চেসাস বলছেন, 'আমি ঠিক জানি না, ওই ৪ কোটি ইউরো ঠিক কোথায় গেল৷ তা ফুটবলার পেল, না তার ক্লাব পেল; না গোটা অর্থই ওই মধ্যস্থতাকারী সংস্থা আত্মসাত্‍ করে নিয়েছে, তা ঠিক বলতে পারব না৷ তা পরিষ্কার করে জানার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। গত বুধবার এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বিচারপতি পাবলো রুজ বার্সাকে ৫ দিন সময় দিয়েছেন নেইমারের চুক্তির প্রতিলিপি তুলে দেয়ার জন্য৷ একই সঙ্গে গত ৩ বছরে ক্লাব কত অর্থ পেয়েছে, কতই বা খরচ করেছে, তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত৷

(দ্য রিপোর্ট/এএস/ওআইসি/লতিফ/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)