দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ভিসার আবেদনে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কে গ্রেফতার হওয়া ভারতের কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ে এবার ভুল তথ্য দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

মুম্বাইয়ের আদর্শ হাউজিং সোসাইটির ২৫ জন অবৈধ সুবিধাভোগীর তালিকায় রয়েছে দেবযানীর নাম। বিচার বিভাগীয় কমিশনের একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

এদিকে দেবযানীর বাবা উত্তম খোবরাগাড়ে শনিবার তার মেয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খণ্ডন করেন। তিনি এসময় জানান, কোনো রাজনীতিক তাদের এ ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেননি।

তিনি বলেন, ‘ভবনটিতে একটি ফ্ল্যাট খালি ছিল। তাই ফ্ল্যাটটি কেনা কি ভুল? আমাদের ফ্ল্যাট নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাই। কোনো রাজনীতিক আমাদের কোনো ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়নি।’

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি আদর্শ হাউজিং সোসাইটির সদস্যপদ পেতে আবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। মুম্বাইয়ের উপকণ্ঠে যোগেশ্বরীর মীনা হাউজিং সোসাইটির ফ্ল্যাট থাকা অবস্থায় দেবযানী আদর্শ হাউজিং সোসাইটির ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন জানান।

তদন্তে দেখা গেছে, আদর্শ হাউজিং সোসাইটি যখন তার সদস্যপদ অনুমোদন করে তখনও তিনি মীনা হাউজিং সোসাইটির সদস্য ছিলেন।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটা রাজ্য সরকারের নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন। কারণ নিয়মানুয়ায়ী কোনো হাউজিং সোসাইটির সদস্য পদ নেই এমন হলফনামা দিয়ে হাউজিং সোসাইটির সদস্য হওয়া আবেদন করতে হয়।

অবশ্য দেবযানী ও তার বাবা কোন উৎস থেকে অর্থ পেয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন তা জানাননি বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ওই ফ্ল্যাটের দাম নিয়েও মুখ খোলেনি তারা। তবে আদর্শ হাউজিং সোসাইটির কাছ থেকে পাওয়া একটি নথিতে দেখা গেছে, ওই ফ্ল্যাটের মূল্য বাবদ ১১ কোটি তিন লাখ ৬৭ হাজার ৩৬৩ রুপি পরিশোধ করেছে দেবযানী।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া দেবযানীর ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণে দেখা গেছে, যোগেশ্বরীর ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা দিয়েই আদর্শ হাউজিংয়ের ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি।

বিচার বিভাগীয় কমিশনের একটি প্রতিবেদনে আরো দেখা গেছে, দেবযানীর নয়াদিল্লি, আওরঙ্গাবাদ, থানে ও পুনেতে কৃষি জমি এবং বিভিন্ন খাতে বিপুল অংকের বিনিয়োগ রয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আদর্শ হাউজিংয়ের ফ্ল্যাট কেনার জন্য দেবযানী কোনো ঋণও নেননি।

এদিকে, বিচার বিভাগীয় কমিশনের ওই প্রতিবেদনে আদর্শ হাউজিংয়ের ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের সঙ্গে তিন সাবেক মুখমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই প্রতিবেদন শনিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় উত্থাপন করা হবে। (সূত্র: এনডিটিভি)

(দ্য রিপোর্ট/ কেএন/ এমডি/নূরুল/ ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)