গোপীবাগে ৬ জনকে গলা কেটে হত্যা, আটক ৭
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর গোপীবাগের ৬৪/৬ রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি বাসায় একই পরিবারের ছয়জনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছয়জন হলেন- ওই বাসার ভাড়াটে লুৎফর রহমান ফারুক (৭৭) ও তার ছেলে সারোয়ারুল ফারুক (৩০), পীরের খাদেম মঞ্জুরুল আলম (৩০), পীরের মুরিদ মজিবুর রহমান (২৯), শাহীন (২৪) ও রাসেল (৩০)।
পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই বাসার নিচের একটি ছাত্রাবাস থেকে সন্দেহবশত কনক কুমার শাহা (২৫)-সহ ছয়জন এবং বাসার ভাড়াটিয়া বাসারকে আটক করেছে। বাকি পাঁচজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ওয়ারি জোনের এডিসি মেহেদী হাসান ঘটনাস্থল থেকে জানান, গোপীবাগের ৬৪/৬ রামকৃষ্ণ মিশন রোডের পাঁচতলা ‘আয়না’ নামের বাসার দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষ মে মাসে ভাড়া নেন পীর লুৎফর রহমান ফারুক।
সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ৭/৮ জন ওই বাসায় প্রবেশ করে। পুলিশে তাড়া করেছে বলে তারা লুৎফর রহমানের কাছে আশ্রয় চান। তিনি তাদের ভালো মনে আশ্রয় দেন। তারা একসঙ্গে মাগরিবের নামাজ পড়েন। এরপর তারা মুড়ি খান। পরে বাসার মহিলাদের একটি কক্ষে নিয়ে কচটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে তারা। লুৎফর রহমান, ছেলে সারোয়ারুল ফারুক ও পীরের খাদেম মঞ্জুকে একসঙ্গে একটি কক্ষে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে। পরে ওই বাসায় বেড়াতে আসা শাহীন, রাসেল ও মুজিবুর রহমানকে আলাদা একটি কক্ষে নিয়ে তাদেরও জবাই করে। পরে তারা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ওই বাসায় প্রবেশ করে আটক পাঁচ মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ জানতে পারেন তিনি। তাদের মধ্যে দুজন লুৎফর রহমান ও ছেলের বৌ।
তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া বাবুল জানান, মে মাসে লুৎফর রহমান ওই বাসা ভাড়া নেন। তাদের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখা যায়নি। তবে লুৎফর সাহেব পীর টাইপের লোক। তার বাসায় সবসময় সাত/আটজন আত্মীয় থাকতেন।
পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই বাসার পাশের একটি ছাত্রাবাস থেকে সন্দেহবশত ছয়জনকে আটক করেছে। তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ওয়ারি জোনের এডিসি মেহেদী হাসান আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিম এসে কক্ষ দুটি পরীক্ষা ও আলামত সংগ্রহ করবে।
ওয়ারি বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইলিয়াস শরীফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে র্যাব, পুলিশ ও ডিবির একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
(দ্য রিপোর্ট/ডি/এ/কেজেএন/এমএআর/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)