ঢাবির রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
ঢাবি প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সামনে রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভটি ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তরা এটি ভেঙে ফেলে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ সময় স্তম্ভের স্থান থেকে দুইটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। তার একটিতে লেখা রয়েছে- ‘আমরা ক্যাম্পাসকে ধারণ করি। তোদের কারও এখানে ভাস্কর্য স্থাপনের অধিকার নেই। আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি।’
অপরটিতে লেখা রয়েছে- ‘ডাকসুর সামনে রাজাকার ঘৃণাস্তম্ভ থাকবে না। ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ এম আমজাদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘রাতের বেলা কে বা কারা এটা ভেঙে ফেলে গেছে। কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। রাজাকারদের সমর্থকরা এটা করতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রক্টর।’
এবারের ঘৃণাস্তম্ভের অন্যতম উদ্যোক্তা খন্দকার তারেক রায়হান জানান, ‘কে বা কারা রাতের আঁধারে ঘৃণাস্তম্ভটি ভেঙে ফেলেছে। তিনি ধারণা করেন, এটা জামায়াত-শিবিরের কাজ।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতারা। এ ছাড়া ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত: ২০০৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করতে এই স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিল। পরেরদিন তা উন্মোচন করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে কে বা কারা এটা ভেঙে দেয়।
এবারের বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘বিজয় একাত্তর’ মঞ্চের ব্যানারে নতুন করে সংস্কার করা হয় এই ঘৃণাস্তম্ভ। যা ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/এসবি/ডিসেম্বর ২১, ২০১৩)